বিশ্বের সবচেয়ে সেক্সি পুরুষকে শুভেচ্ছা
রূপালি পর্দায় তাঁর অনেক পরিচয়৷ তিনি জেমস বন্ড তারকা৷ অস্কার জয়ের খ্যাতিও আছে তাঁর৷ অনেকের কাছে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে সেক্সি পুরুষ৷ ৮৫ বছর বয়সেও তিনি তরুণ৷ শুভ জন্মদিন, শন কনারি!
চিরসবুজ, চিরকালের ‘হীরা’
২৫ আগস্ট ৮৫-তে পা দিলেন শন কনারি৷ এই বয়সেও শার্ট খুললে অনেক তরুণীই তাঁর রোমশ বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ এই ছবিটি অবশ্য আগের৷ ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ ছবির গোয়েন্দা জেমস বন্ডকে গোসল করতে দেখা যাচ্ছে এখানে৷ হীরা চিরকালই যেমন অমূল্য, আকর্ষণীয়, শন কনারিও তেমনি৷
যেভাবে জনপ্রিয়, যে কারণে যৌনাবেদন
স্কটল্যান্ডে জন্ম নেয়া শন কনারির ‘হার্টথ্রব’ হওয়া শুরু জেমস বন্ড দিয়ে৷ পর্দার চৌকষ, সুপুরুষ গোয়েন্দা বন্ড বাস্তব জীবনেও ভীষণ ড্যাশিং এবং স্টাইলিশ৷ এখানে সিজার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ফরাসি অভিনেত্রী জঁন মরো-র সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁকে৷ ছবিটি ১৯৮৭ সালের, কনারির বয়স তখন ৫৭৷
‘প্রথম আলো’
‘জেমস বন্ড’ হওয়ার আগ পর্যন্ত হলিউডে খুব কঠিন সময় কাটিয়েছেন শন কনারি৷ বক্স অফিসে কিছুটা সাফল্য এসেছিল ১৯৫৮ সালে, ‘অ্যানাদার টাইম, অ্যানাদার প্লেস’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে৷ ওপরের ছবিতে সেই ছবিরই এক বিশেষ মুহূর্তে লানা টার্নার-এর সঙ্গে কনারি৷
সে আলো ছড়িয়ে গেল.....
‘অ্যানাদার টাইম, অ্যানাদার প্লেস’-এর ঠিক চার বছর পরই হলিউডে শুরু হয়ে গেল শন কনারির যুগ৷ জেমস বন্ড-এর ‘ডক্টর নো’-র মাধ্যমে জন্ম হলো নতুন এক মহানায়কের৷ ছবিতে উর্সুলা আনড্রেস-এর সঙ্গে কনারির কিছু দৃশ্য এখনো অনেকের হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়৷
অভিনয়মানের টান
খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তার শিখরে থাকার সময়েও অভিনয়ে বৈচিত্র্য এবং মানকে গুরুত্ব দিয়েছেন কনারি৷ ১৯৬২ সালে আলফ্রেড হিচককের সাইকো-থ্রিলার ‘মারনি’-তে তাঁর অভিনয় দক্ষতা চিরস্মরণীয়৷
সুপার-ডুপার হিট কনারি
জেমস বন্ড সিকুয়ালে তাঁর তৃতীয় ছবি ‘গোল্ডফিঙ্গার’৷ কল্পনাতীত সাফল্য পেয়েছিল ছবিটি৷ ১৯৬৪ সালে এ ছবি থেকে আয় হয়েছিল ১২৫ মিলিয়ন ডলার!
জেমস বন্ড থেকে মুক্তি
জেমস বন্ডে অভিনয় এক সময় বড় একঘেয়ে মনে হচ্ছিল৷ সবসময় অর্থ আর জনপ্রিয়তাই তো সব নয়! কনারি চাইছিলেন জেমস বন্ড ইমেজটাকে ভাঙতে৷ ১৯৭৪-এ মুক্তি পাওয়া ‘জারডোজ’ অবশেষে তাঁকে সেই তৃপ্তি দিল৷
অস্কারজয়ী ‘স্যার’ কনারি
শন কনারি অভিনয় জীবনের সেরা স্বীকৃতিটি পেয়েছেন ১৯৮৭ সালে৷ সে বছর ‘দ্য আনটাচেবলস’-এ পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার দেয়া হয় তাঁকে৷ পরে একবার গোল্ডেন গ্লোবও জিতেছেন কনারি৷ ২০০০ সালে ‘নাইট’ উপাধিও দেয়া হয় তাঁকে৷
উদারতা
ক্যারিয়ারের এক পর্যায়ে অনেক ছবিতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্রে অভিনয়ের অফার প্রত্যাখ্যান করে সেই চরিত্র বয়সে তরুণদের দিতে শুরু করেন কনারি৷ ওপরের ছবিটি ১৯৮৬ সালের ‘হাইল্যান্ডার’ চলচ্চিত্রের৷ ‘মুখ্য’ চরিত্রটি ক্রিস্টোফার ল্যাম্বার্টের (ডান দিকে) জন্য ছেড়ে দিয়ে ছোট, অথচ গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র রূপায়ন করেছিলেন শন কনারি৷
হলিউডকে বিদায়
নব্বইয়ের দশক থেকে খুব ধীরে হলেও জনপ্রিয়তার ‘গ্রাফটা’ নীচের দিকে নামতে শুরু করে৷ ‘দ্য অ্যাভেঞ্জার্স’ সহ বেশ কয়েকটি ছবি বক্সঅফিসে সফল হলেও কনারি বুঝতে পারছিলেন রূপালি পর্দাকে বিদায় জানানোর সময় এসেছে৷‘দ্য লিগ অফ এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেন্টলম্যান’ ছবির পর শন তাই আর অভিনয় করেননি৷ ২০০৩ সালে ঘোষণা দিয়েই অভিনয়জীবনে ইতি টেনে ব্যক্তিগত জীবনে ডুব দিয়েছেন হলিউড ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই তারকা৷