বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ১০টি বোটানিক্যাল গার্ডেন
বোটানি বা উদ্ভিদবিদ্যা একটি বিজ্ঞান৷ কিন্তু বিজ্ঞানের সঙ্গে নন্দনতত্ত্বের যোগ ঘটে বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে পরিচিত উদ্যানগুলিতে৷ সেখানে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির গাছপালা ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষের ভিড় হয়৷
রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনস, কিউ
রানি ভিক্টোরিয়ার আমলের বৃহত্তম গ্রিনহাউসটির নাম টেম্পারেট হাউস, যা দেখতে পাওয়া যাবে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের কিউ গার্ডেন্সে৷ এখানে যেসব বিরল গাছ ও উদ্ভিদ রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো দক্ষিণ আফ্রিকার এন্সেফালার্টোস উডিয়াই – পাম গাছের মতো একটি সাইক্যাড গাছ৷ পুরু, সবুজ পাতা সম্বলিত গাছটির একটিমাত্র নমুনা আজ অবধি মুক্ত প্রকৃতিতে খুঁজে পাওয়া গেছে৷ নয়তো গাছটি বস্তুত বিলুপ্ত৷
কির্শটেনবশ ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন
কেপ টাউনের বোটানিক্যাল গার্ডেনটি টেবল মাউন্টেনের পুবদিকের ঢালে৷ ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যানটিতেই প্রথম শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট এলাকার গাছপালা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা হয়৷ এখানকার ৭,০০০ উদ্ভিদের মধ্যে নানা ধরনের ঘাস ছাড়া অবশ্যই প্রোটিয়া ফুলগাছটিও আছে, কেননা, প্রোটিয়া হলো দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ফুল৷
আর্কটিক-অ্যালপাইন বোটানিক গার্ডেন, ট্রমসো
মেরুবৃত্তের উপরে অবস্থিত এই উদ্যানটি হলো বিশ্বের উত্তরতম বোটানিক্যাল গার্ডেন৷ মেরু অঞ্চল ও উচ্চ পার্বত্য এলাকার হাজার হাজার ফুল ফোটে এই বাগানে – তার মধ্যে হিমালয়ের নীল পপি ফুলও আছে৷ ট্রমসোর এই ছোট্ট উদ্যানটির মালিক হল নরওয়ের সুমেরু বিশ্ববিদ্যালয়৷
রিও ডি জানেইরোর বোটানিক্যাল গার্ডেন
ইউনেস্কো এই উদ্যানটিকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ হিসেবে ঘোষণা করেছে৷ ১৮০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সুবিশাল উদ্যানটিতে প্রায় ৬,৫০০ ধরনের গাছপালা আছে, যাদের মধ্যে অনেকগুলোই বিলুপ্তির মুখে৷ রিও ডি জানেইরোর দক্ষিণের এই এলাকাটির নাম উদ্যানটির নামে: জার্দিম বোতানিকো৷
সিঙ্গাপুর বোটানিক গার্ডেন্স
সিঙ্গাপুরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্যানগুলির অন্যতম৷ উদ্যানটি অর্কিডের সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত৷ দর্শকরা এখানে একটি বৃষ্টিপ্রধান অরণ্যের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন৷ ২০১৫ সালে উদ্যানটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকাভুক্ত করা হয়৷
মন্ট্রিয়ল বোটানিক্যাল গার্ডেন
ছবির চৈনিক উদ্যানটির মতো নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে ৩০টি বাগান ও ১০টি গ্রিনহাউস মিলে মন্ট্রিয়ল বোটানিক্যাল গার্ডেন৷ মিং রাজবংশের রাজকীয় উদ্যানগুলির প্রেরণায় তৈরি চাইনিজ গার্ডেনটি হলো চীনের বাইরে সবচেয়ে বড় চৈনিক উদ্যান৷ ফার্স্ট নেশনস গার্ডেন নামের অংশটিতে ক্যানাডার আদত উপজাতিক বাসিন্দাদের প্রাকৃতিক জ্ঞান সম্পর্কে একটি প্রদর্শনী দেখতে পাওয়া যাবে৷
সার সিউসাগর রামগুলাম বোটানিক্যাল গার্ডেন
মরিশাসের বোটানিক্যাল গার্ডেনটি তার সুবিশাল জলজ লিলি ও পদ্মফুলের জন্য বিখ্যাত৷ আদতে উদ্যানটি মশলা চাষের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল৷ উদ্যানটির নামকরণ করা হয়েছে স্বাধীন মরিশাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে৷
বার্লিন বোটানিক গার্ডেন্স
বার্লিনের ডাহলেম এলাকায় ৪৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে তৈরি এই বাগানটি ইউরোপের বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন৷ বার্লিনের মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর মালিক৷ একটি ট্রপিক্যাল হাউস ও চারপাশের বাগানে সারা বিশ্বের প্রায় ২০,০০০ উদ্ভিদ প্রজাতির নমুনা রাখা রয়েছে – নানা ধরনের পাম গাছ, লতানো গাছ ও একটি দৈত্যাকার বাঁশঝাড়ও রয়েছে তার মধ্যে৷