1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাঁতার শেখা কর্মসূচি

২৫ ডিসেম্বর ২০১৫

প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ১৮ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়৷ সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে প্রাণ যাচ্ছে ৪৯ জন শিশুর৷ অর্থাৎ প্রতি ৩০ মিনিটে একজনের৷ দেশটিতে এক থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ এটি৷

https://p.dw.com/p/1HTdO
Bangladesch Kinder spielen im Wasser
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

এই অবস্থায় চলতি বছরের শুরুতে সরকার স্কুলের সব শিক্ষার্থীদের জন্য সাঁতার শেখা বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেয়৷

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ফারহানা হক, যিনি এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব আছেন, তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সি প্রায় চার কোটি শিশুকে আমরা সাঁতার শেখানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি৷ আমার মনে হয় এটি কোনো এক সময়ে নেয়া সবচেয়ে বড় সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি৷''

সাঁতার প্রশিক্ষণের এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত সুইমিংপুলের অভাব একটি বড় বাধা৷ এই অভাব দূর করতে সরকার স্থানীয় পুকুর ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে৷

কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইউনিসেফ অর্থ ও জনবল দিয়ে সহায়তা করছে৷ এছাড়া বাতাস ঢুকিয়ে ফোলানো যায় এমন বড় সুইমিংপুলও সরবরাহ করছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি৷

ঢাকায় স্থাপন করা ইউনিসেফ-এর এমনই এক সুইমিংপুলে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেখতে গিয়েছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপি-র প্রতিনিধি৷ সেখানে তিনি যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তাদের সঙ্গে কথা বলেন৷ ১০ বছরের কবিতা আক্তার তাঁকে জানায়, ‘‘আগে আমি পানি দেখলে ভয় পেতাম৷ এখন আমার বারবার এখানে আসতে ইচ্ছা হয়৷''

ইউনিসেফ-এর শিশু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যামি ডেলনয়ভিলে এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশে যেহেতু অনেক জলাভূমি আছে সেহেতু পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে৷'' মানুষজন তাদের কর্মসূচি নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানান এই ইউনিসেফ কর্মকর্তা৷ ‘‘কারণ তাঁরা (মানুষ) জানেন পানি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে'', বলেন তিনি৷

পানি যে কতটা বিপদের কারণ হতে পারে সেটা ভালো করেই জানেন জাহানারা আনোয়ার৷ ২০১১ সালে তাঁর ১৪ বছরের ছেলে আমান্ত পানিতে ডুবে মারা যায়৷ তাই তিনি এখন তাঁর আট বছর বয়সি ছেলে অনন্তকে সাঁতার শেখাচ্ছেন৷ শুধু নিজের জন্য নয় পানিতে ডুবতে থাকা অন্য কাউকে বাঁচানোর জন্যও সাঁতার শেখা প্রয়োজন বলে ছেলে অনন্তকে বলেছেন মা জাহানারা আনোয়ার৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)

প্রিয় পাঠক, আপনার সন্তান কি সাঁতার শিখছে? অভিজ্ঞতা জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য