বিশ্বের ভয়াবহ সব হানাবাড়ি
৩১ অক্টোবর বিশ্বের নানা দেশে হ্যালুইন উদযাপিত হয়৷ এ দিনে কলোম্বিয়ার হ্যালুইন প্যারেড থেকে রোমানিয়ার ড্রাকুলা প্রাসাদ ছাড়াও ছবিঘরে থাকছে বিশ্বের ভয়াবহ কিছু গা ছমছম করা হানাবাড়ির খবর৷
রক্তাক্ত লন্ডন
হ্যালুইনে লন্ডনের রক্তাক্ত ইতিহাস যেন বর্তমানে ফিরে আসে৷ ৩১ অক্টোবর মধ্যরাতে বিখ্যাত হত্যার ঘটনাস্থলগুলো ঘুরে দেখেন অনেকে৷ তাঁদের বিশ্বাস, নিহতের প্রেতাত্মা এদিন ঘুরে বেড়ায় সেখানে৷
যুক্তরাষ্ট্রের সালেম
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ হানাবাড়িটি কোথায় জানেন? ম্যাসাচুসেটস-এর সালেমে এবং এটা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত হানাবাড়ি৷ কেননা, ডাইনির হাতে এখানে মারা পড়েছেন ২৬ জন মানুষ৷ প্রতিবছর অক্টোবরের ৩১ তারিখ এখানে জাদুবিদ্যা চর্চার উদযাপন করা হয়৷
রহস্যে ঘেরা মেক্সিকো
মেস্কিকোর অধিবাসীদের বিশ্বাস, ৩১ অক্টোবর তাঁদের মৃত স্বজনেরা ফিরে আসেন৷ তাই এই দিনটি তাঁরা ‘মৃতদের দিন’ হিসেবে উদযাপন করেন৷ এছাড়া এদিন কফিন নিয়ে শোভাযাত্রাও বের করেন তাঁরা৷
আয়ারল্যান্ড
আপনি কি জানেন হ্যালুইনের শুরুটা আসলে হয়েছিল আয়ারল্যান্ড থেকে? ৩১ অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের মানুষ শস্য কেটে ঘরে তোলার উৎসব উদযাপন করেন৷ এদিন মৃতদের আত্মা মর্ত্যে নেমে আসে বলে বিশ্বাস করেন তাঁরা৷ বর্তমানে গ্যালওয়ে ও লন্ডনডেরি শহরদুটিতে পাঁচদিন ধরে শোভাযাত্রা, ভূত শোভাযাত্রা এবং ড্রাগন সাফারি হয়৷
কলোম্বিয়ার হ্যালুইন উন্মত্ততা
হ্যালুইনের সময় আপনি যদি কলোম্বিয়ায় যান, তাহলে রাজধানী বোগোটাকে আপনার ভূতের নগরী বলে মনে হবে৷ রাস্তায় রাস্তায় অদ্ভুত পোশাক পড়া মানুষ আর কেমন একটা ছমছমে পরিবেশ৷ বার্ষিক হ্যালুইন প্যারেডে ভূতদের আধিপত্য আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে আপনি নরকে পৌঁছে গেছেন৷
রোমানিয়ার ভ্যাম্পায়ার
রোমানিয়ার ব্রান দুর্গকে ড্রাকুলা দুর্গ বলা হয়৷ ৩১ অক্টোবর যদি আপনি সেখানে থাকেন, তবে এর চেয়ে ভালোভাবে হ্যালুইন উদযাপন আর কোথাও হয় না৷ ড্রাকুলার নানা কাহিনি আপনি জানতে পারবেন সেখান থেকে৷
প্রাগের মৃতদেহগুলো
ইউরোপের ভূতের শহরগুলোর মধ্যে প্রাগ অন্যতম৷ সেখানকার সেডলেক ওসুয়ারি চ্যাপেলটি ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের হাড়ে সজ্জিত৷
রোমান্টিক হ্যালুইন
ইউরোপের কেবল রোমান্টিক নয়, রহস্যে ঘেরা শহর হলো প্যারিস৷ এখানে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম গোরস্থান প্যারিস ক্যাটাকম্বস, যেখানে মাটির নীচে কবরস্থান রয়েছে৷
রোজ হল, জ্যামাইকার হানাবাড়ি
জ্যামাইকার এই হানাবাড়িটিতে নিষ্ঠুর এক ডাইনির বাস ছিল বলে ধারণা করা হয়, যে কিনা দাসদের নির্যাতন করে হত্যা করত৷ হ্যালুইনে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র এটি৷ এখানে গেলে আপনার মনে হতে পারে নির্যাতিত দাসদের কান্না শুনতে পারছেন৷
কফিনগুলোর স্থান বদল
বার্বাডোজের ক্রাইস্টচার্চ, যেখানে চেজ পরিবারের ভল্ট ছিল, এটি হ্যালুইনে জীবন্ত হয়ে ওঠে৷ ঐ ভল্টে চেজ পরিবারের সদস্যদের সমাহিত করা হয়েছিল৷ এরা শ্রমিকদের উপর নানা নির্যাতন ও নিষ্ঠুর আচরণের জন্য কুখ্যাত ছিল৷ সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপারটা হলো, যতবার ভল্টের দরজা খোলা হয়, দেখা যায় কফিনগুলোর স্থান পরিবর্তন হয়েছে৷ আজ পর্যন্ত এই রহস্যের কোনো কিনারা হয়নি৷