1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-পুটিন বৈঠক বাতিল

৩০ নভেম্বর ২০১৮

বিরোধ ও বিতর্কের মধ্যে আর্জেন্টিনায় শুরু হচ্ছে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন৷ ট্রাম্প-পুটিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বাতিল হচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও সম্মেলনে কিছু ইতিবাচক ফলাফলের আশা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/39BLq
বুয়েনস আইরেসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/K. Lamarque

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেস সপ্তাহান্তে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত৷ শুক্রবার থেকে দুই দিনের জন্য বিশ্বের প্রধান ২০টি দেশের শীর্ষ নেতারা মিলিত হচ্ছেন৷ কিন্তু এবারের সম্মেলনে ঐক্যের বদলে একাধিক নেতার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘাতের বিষয়টিই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠক বাতিল করেছেন৷ নাবিকসহ ইউক্রেনের ৩টি জাহাজ আটক করে রাশিয়া প্রবল আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ ফলে পুটিন সার্বিকভাবে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন৷ ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনের পরিস্থিতির সমাধানের পর ‘অর্থবহ শীর্ষ সম্মেলন' সম্পর্কে আশা প্রকাশ করেন৷

ট্রাম্প নিজেও ‘রাশিয়া-কেলেঙ্কারি' সংক্রান্ত তদন্তে অগ্রগতির কারণে চাপের মুখে রয়েছেন৷ ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি রাশিয়ার অবৈধ মদত নিয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করছেন প্রাক্তন এফবিআই প্রধান রবার্ট মালার৷ ট্রাম্পের নিজস্ব আইনজীবী মাইকেল কোয়েন সম্প্রতি ট্রাম্প ও রাশিয়ার অবৈধ যোগাযোগের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেওয়ায় প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প৷ তাঁর প্রচার অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পল ম্যানাফোর্টও এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ এই অবস্থায় পুটিনের সঙ্গে বৈঠক তাঁর কাছে বেশ অস্বস্তিকর হতে পারতো৷ ইউক্রেনের ঘটনা বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত অনেক সহজ করে দিয়েছে৷

চীন ও অ্যামেরিকার মধ্যে আরো বড় আকারের বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কাও সম্মেলনের ঐক্যের উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ তবে ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং-এর সঙ্গে নির্ধারিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অগ্রগতির আশা করছেন৷ সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে ও বিশ্ব বাণিজ্যের উপর চাপ কমবে৷ মার্কিন ও চীনা প্রতিনিধিদল এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী৷ ট্রাম্প নিজেও বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷

সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিও বেশিরভাগ নেতার কাছে অস্বস্তির কারণ৷ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্ভাব্য ভূমিকার কারণে সালমান কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছেন৷ প্রকাশ্যে তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে চাইছেন না বেশিরভাগ নেতা৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য বেশ উষ্ণতার সঙ্গে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷

জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠীর আরো কয়েকজন বিতর্কিত শীর্ষ নেতাকে দেখা যাবে৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্টে তাঁদের মধ্যে অন্যতম৷

আর্জেন্টিনায় শীর্ষ সম্মেলনে একটি ইতিবাচক সাফল্যের আভাস এখনই পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানেই ক্যানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে৷ তবে শীর্ষ নেতারা স্বাক্ষর করলেও তিনটি দেশের সংসদে চুক্তির অনুমোদন করাতে হবে৷ তারপরই এই বোঝাপড়া কার্যকর হবে৷ জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে ট্রাম্প অবশ্য পরিবেশ কিছুটা বিষাক্ত করে তুলেছিলেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)