বিশ্বজুড়ে নির্বিচার গুলিবর্ষণে যত হত্যা
মাঝে মাঝেই বিশ্বের নানা স্থানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে মানুষ৷ সবশেষ তা ঘটেছে নিউজিল্যান্ডে৷ ২০০৭ সাল থেকে এমন ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে৷
১২ বছরে ৩০ হামলা
এক প্রতিবেদনে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বিচার গুলিবর্ষণের ৩০টি বড় ঘটনা উল্লেখ করেছে রয়টার্স৷ এসব হামলায় বিশ্বজুড়ে ৮০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে
সবচেয়ে বেশি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে৷ স্কুল, রেস্টুরেন্ট, চার্চ, এমনকি বাদ যায়নি ইমিগ্রেশন সেন্টারও৷ গত ১২ বছরে দেশটিতে ১৮ টি বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন মোট ৩৪৩ জন৷
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা
যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুকধারীদের হামলার অন্যতম লক্ষ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ এর মধ্যে ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটিতেই বন্দুকধারী সবচেয়ে বেশি ৩২ জনকে হত্যা করে৷
নাইটক্লাব থেকে সংগীত উৎসব
১ অক্টোবর, ২০১৭৷ লাস ভেগাসে চলছিল সংগীত উৎসব৷ ৬৪ বছর বয়সি এক বন্দুকধারী পাশের হোটেলের ৩২ তলা থেকে শুরু করেন নির্বিচার গুলিবর্ষণ৷ ৫৮ জনের প্রাণ নিয়ে নিজেকেও হত্যা করেন এই প্রবীণ৷ এর আগে ১২ জুন, ২০১৬ সালে ফ্লোরিডার সমকামীদের একটি নাইটক্লাবে হামলার ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়৷
বাদ যায়নি চার্চও
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর রোববারের প্রার্থনা চলছিল তখন৷ বন্দুকধারী সেসময় টেক্সাসের ফাস্ট ব্যাপটিস্ট চার্চে হামলা চালায়৷ এতে ২৬ জন প্রাণ হারান৷ বন্দুকধারী ক্ষান্ত হন নিজেকে গুলি করে৷
রক্তাক্ত ফ্রান্স
১২৯ জনের মৃত্যু হয় ফ্রান্সে ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ সালের হামলায়৷ একাধিক হামলাকারী গোটা প্যারিসজুড়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায়৷ তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট এর দায় স্বীকার করে৷
হামলার শিকার বুরকিনা ফাসো
একাধিক বন্দুকধারী এই হামলাটি চালায় বুরকিনা ফাসোর একটি রেস্টুরেন্টে৷ ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারির ঘটনাটিতে ২৯ জন মারা যান৷
টিউনিসিয়ায় দুই দফা
২৫ জুন ২০১৫ সালে ছাতায় লুকিয়ে বন্দুকসহ টিউনিসিয়ার একটি হোটেলে ঢুকে বিভিন্ন দেশের ৩৯ জনকে হত্যা করেন এক ব্যক্তি৷ একই বছরের মার্চে সামরিক বাহিনীর পোশাকে দেশটির জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশ করে ২২ জনকে হত্যা করেন আরেক বন্দুকধারী৷ দুটি ঘটনারই দায় স্বীকার করে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট৷
কেনিয়ার শপিং মলে হামলা
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির একটি শপিং মলে ৬৭ জনকে হত্যা করে বন্দুকধারী৷ ২০১৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের এই ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্টের স্বজনও মারা যান৷
নরওয়ের ইয়ুথ ক্যাম্পে হামলা
নরওয়ে৷ ২২ জুলাই, ২০১১ সাল৷ চলছিল দেশটির ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির ইয়ুথ সামার ক্যাম্প৷ পুলিশের পোশাক পরে বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সেখানে ৬৯ জনকে হত্যা করে৷
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা
জুম্মার নামাজ আদায়ের সময়ে দুটি মসজিদের মুসল্লিদের উপর গুলিবর্ষণে নিহত হন ৫০ জন, আহত ৪০ জন৷ গত ১৫ মার্চের এই ঘটনা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড৷