বিশ্বজিৎ হত্যার বিচারের রায় হলো একটা ‘নাটক' | পাঠক ভাবনা | DW | 09.08.2017
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

মতামত

বিশ্বজিৎ হত্যার বিচারের রায় হলো একটা ‘নাটক'

‘‘বিচারটি পক্ষপাতদুষ্ট রায় হয়েছে৷ যেখানে খুনের প্রকাশ্য ভিডিও ছিল, তারপর কীভাবে এই রায় হয়?'' বিশ্বজিতের বিচার সম্পর্কে মন্তব্যটি একজন পাঠকের৷বেশিরভাগ পাঠক অবশ্য রায়টি মেনে নিতে পারছেন না বলেই ফেসবুক পাতায় মন্তব্য করেছেন৷

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু তানজিল আহমেদও মনে করেন ন্যায়বিচার পাননি বিশ্বজিতের পরিবার!  তাঁর প্রশ্ন, ‘‘প্রকাশ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার পরেও ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামীদের সাজা কীভাবে কমে?''

স্যাকলায়েন খান বলছেন, ‘‘কোপাকুপিতে অংশ নিল ১৪-১৫ জন৷ তবে কেন ফাঁসি হলো মাত্র দু'জনের?''

পাঠক আবদুল্লাহ ইমরানের মতে বিশ্বজিতের হত্যার বিচার নিয়ে নাকি তামাশা করা হয়েছে৷ আর তানভির আহমেদের ধারণা, যে দু'জনকে ফাঁসি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তারাও নাকি খালাস পেয়ে যাবেন৷

এ ধারণা অবশ্য তাঁর একার নয়, আরো অনেকেরই৷ যেমন ফেসবুকে মোহাম্মদ আবু তাহেরের বক্তব্য,  ‘‘সেদিন হয়ত খুব বেশি দূরে নয়, যখন এই দু'জনসহ বাকি সকলকেই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে৷ আমরা এ রকম বহু দেখছি৷ ক্ষমতার ছায়ায় থেকে এভাবেই অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায়৷ তাই তো এই দেশে বার বার ফিরে আসে খুন, ধর্ষণ সহ যাবতীয় অন্যায় কর্মকাণ্ড৷ মাঝে মাঝে মনে হয় এ পোড়া দেশে রাষ্ট্রপতি বানানো হয় অপরাধীদের ক্ষমা করার জন্য! আজব এ দেশ আর আজব এ দেশের আইন-কানুন৷ এ দেশের আইনের সব ধারাই যেন গরিব আর অসহায়দের দিকে তাক করে আছে৷''

পাঠক নিজাম উদ্দিন প্রেম বিশ্বজিৎ খুনের এই রায় কীভাবে দেয়া হলো, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ এটা কীভাবে ন্যায়বিচার হলো? যারা ‘ওপেনলি 'হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত, তাদের কীভাবে শাস্তি কম হয়? সবাই তো একই অপরাধে অপরাধী৷ তাহলে শাস্তি কম-বেশি হলো কেন? আদালত প্রমাণ চায়৷ কিন্তু এখন তো সব প্রমাণই বিচারকের সামনে৷ তাহলে বিচারক কীসের ভিত্তিতে এই রায় ‍দিয়েছেন?''

নিজাম উদ্দিনের মতো প্রায় একই মত পোষণ করে মেহেদি আসিফ মন্তব্য করেছেন, ‘‘বিচারকগণ কি ঘটনার ভিডিও দেখেননি? কী দেখে আর কীসের তদন্তের ভিত্তিতে এই রায় হলো?''

তারিকুল আনিস অবশ্য মনে করেন, ‘‘বিচারকদের দক্ষতা ও সততা অনেক আগেই থেকে প্রশ্নবিদ্ধ৷ আমার জানা মতে বাদি ও বিবাদির বিচারকরা নিজেদের আয় বৃদ্ধির জন্য মামলা লম্বা সময় ধরে চালান৷ শুধু তাই না, ভুক্তভোগীদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টাকা নেন৷''

নির্বাচিত প্রতিবেদন

খুবই হতাশ হয়ে তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘‘আমাদের দেশের আইন ও আইনবিদরা দেশের মানুষকে সঠিক বিচার ও নিরাপত্তা কবে দিতে পারবে?''

বিচারের রায় নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন পাঠক হাসান, তারেক আহমেদ, মো.আবদুল্লাহর মতো আরো অনেকে৷

আশরাফুল ইসলাম রাজুর কথায়, ‘‘আমি মনে করি পক্ষপাতদুষ্ট রায় হয়েছে৷ আসামীরা ক্ষমতাসীন দলের হওয়াতে ছাড় পেয়েছে৷ যেখানে খুনের প্রকাশ্য ভিডিও ছিল, তারপরও কীভাবে সেখানে এইরকম রায় হয়?  ‘ভেরি স্ট্রেঞ্জ'!''

‘‘কোপাইছে চারজনে, মৃত্যুদণ্ড দুইজনের৷'' তন্ময় ইসলামের মন্তব্য৷

শাওন মাহমুদ বেপারিরও একই মত৷ ‘‘ক্যামেরার সামনে বিশ্বজিৎকে মেরেছে মোট ছ'জন আর ফাঁসির রায়  দু'জনের কেন?''

‘‘দলীয় সরকার যে ন্যায়বিচার করবে না, তা একরকম নিশ্চিতই ছিল৷'' মন্তব্য আবুল হাসানের৷

তবে পাঠক সাগর শিল আর জসিম উদ্দিনের মতে, ‘‘দু'জনেরই আর বিচার হওয়ার দরকার কী? ওদেরও খালাস দিয়ে দিলেই হয়৷''

অনেকের মতো হতাশ আবদুল সামাদ, রজব আলী এবং হোসেন মামুনও৷ তাঁরা ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, একবারে তো আর সবাইকে মাফ করা যায় না৷ তাই দু'জনকে পরে মাফ করা হবে৷ তাঁরা নিশ্চিত যে, এই দু'জনও ছাড়া পেয়ে যাবে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমায়৷

ধ্রুব নিল খুব দুঃখ করে জানিয়েছেন, ‘‘একেই বলে অবিচার৷'' আর জিয়াউর রহমানের সোজা কথা, ‘‘এই বিচার মানি না৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

এই বিষয়ে অডিও এবং ভিডিও