বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ব্রাজিলীয় গাফিলতিতে চিন্তিত ফিফা
২৫ জুন ২০১১সমস্যাটা কোথায় এবং কেমন?
ব্রাজিলের কাজের অগ্রগতি দেখে শুক্রবার বেশ অসন্তুষ্টিই প্রকাশ করলেন ফিফার সাধারণ সম্পাদক জেরোমে ফালকে৷ ২০১৪ সালে ব্রাজিলে বসতে চলেছে পরবর্তী বিশ্বকাপের আসর৷ ফালকের মতে, ব্রাজিল তাদের প্রস্তাবিত কর্মসূচি থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছে৷ কাজ এগোচ্ছে না প্রত্যাশিত মাত্রায়৷ রাজধানী সাও পাওলোতে একটি বড়মাপের স্টেডিয়াম তৈরির জন্য যে গতিতে কাজ হওয়ার কথা তার কিছুই হচ্ছে না, বলেছেন জেরোমে৷ বিমানবন্দর, বিমানবন্দর থেকে খেলার মাঠে যাওয়ার পথ বা জাতীয় স্তরে যোগাযোগের জন্য পরিকাঠামো, কোনটাই ঠিকমত এগোচ্ছে না৷
সাও পাওলোর স্টেডিয়ামের মেরামতি
স্টেডিয়াম রয়েছে ঠিকই, কিন্তু, সেটাকে আন্তর্জাতিক মানে তুলে নেওয়ার কাজ নিয়েই যত বিপত্তি৷ সেই কাজটাতেই ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে ব্রাজিলের তরফে৷ বিশ্বকাপের আসর বসার আগে ২০১৩ সালে কনফেডারেশনস কাপের জন্য এই মাঠের দরকার৷ কারণ, যে কোন বিশ্বকাপের আগে সেটি হচ্ছে যাকে বলে ড্রেস রিহার্সালের মত ব্যাপার৷ কিন্তু সে কাজ কতটা কী হবে বা হতে পারবে, তা নিয়ে সন্দিহান ফিফার সাধারণ সম্পাদক নিজেই৷ সাও পাওলোর যে স্টেডিয়ামে প্রধান খেলা হওয়ার কথা, সেটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আপাতত বন্ধ রয়েছে৷ তার মেরামতির কাজ তো বটেই, সেইসঙ্গে যোগাযোগের জন্য সড়ক বা অন্যকিছুর কাজই প্রত্যাশিত গতিতে এগোচ্ছে না বলেই চিন্তিত ফিফা৷
ফালকে কথা বললেন মস্কোয়
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে৷ তারপরে ২০১৮-র বিশ্বকাপ হবে রাশিয়ায়৷ মস্কোয় সে বিষয়েই এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ফিফার সাধারণ সম্পাদক ব্রাজিল নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন৷ দেখা যাচ্ছে, পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিল প্রমাণ করে রেখেছে যে ফুটবল খেলায় তারা অন্যদের তুলনায় বেশ এগিয়ে৷ কিন্তু, সেই খেলার ব্যবস্থাপনায় তাদের ঢিলেমি অন্য যেকোন দেশের অনুপাতে অনেক বেশি৷ তবে ফিফার আশা, নিজেদের গাফিলতি কাটিয়ে উঠে ব্রাজিল নিশ্চয়ই দ্রুত কাজে হাত দেবে৷ তা নাহলে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসরে অনেক বেশি সমস্যায় পড়তে হবে তাদের এবং সেইসঙ্গে এই বিশ্বকাপের আয়োজক সংস্থা ফিফাকেও৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম