সিরাজগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান অনুরোধ করেছেন, আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে একটি বিশেষ কুইজের আয়োজন করুন৷ আমার যে একটি আইপড-এর সখ অনেক দিনের সেটা মনে আছে তো আপনাদের? নিয়মিত অন্বেষণ অনুষ্ঠান দেখছি, ভালো লাগছে৷
- বন্ধু মিজান, আপনার যে একটি আপডের সখ সে কথা আমাদের অবশ্যই মনে আছে৷ তবে আমাদের এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই৷ আপনি নিয়মিত ফেসবুকে অন্বেষণ কুইজে অংশ নিন৷ আমাদের বিশ্বাস, আপনি অবশ্যই একবার বিজয়ী হয়ে একটি ‘আইপড’ পুরস্কার হাতে পাবেন৷ আপনাকে এবং অন্য বন্ধুদের অনুরোধ করছি, নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন, তাহলেই জানতে পারবেন বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে ডয়চে ভেলের আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার কথা৷
পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন মো. কামাল হোসাইন, জগন্নাথদী, মোল্যা বাড়ি, মধুখালী, ফরিদপুর থেকে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার শুভেচ্ছা নেবেন৷ আশাকরি সকলে ভালো আছেন৷ শর্টওয়েভ এবং এফএম-এ, অর্থাৎ রেডিও অনুষ্ঠান না থাকায় আমরা আর আগের মতো চিঠি লিখি না৷ কিন্তু বিশ্বকাপ সামনে রেখে না লিখে আর থাকতে পারলাম না৷ আমরা যাঁরা জার্মানিকে সাপোর্ট করি, তারা তো আর এ সময়ে জার্মানিকে ভুলতে পারি না৷ যদিও জার্মানি আমাদের ভুলে গেছে! যাই হোক, বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে জার্মানি থেকে খেলোয়াড়দের গ্রুপ ছবি পাঠালে খুশি হবো৷ ভাববো ডয়চে ভেলে আমাদের ভুলে যায়নি৷ আমি ফেসবুকে নিয়মিত ভিজিট করে থাকি এবং কমেন্ট করে থাকি৷ বিশ্বকাপে জার্মানির সাফল্য কামনা করছি এবং আরোও লেখার প্রত্যাশা রাখছি৷ অবশেষে আপনাদের পাঠানো চিঠির অপেক্ষায় রইলাম৷’’ মো. কামাল হোসাইন, জগন্নাথদী, মোল্যা বাড়ি, মধুখালী, ফরিদপুর৷
‘‘বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকার শুভেচ্ছা নেবেন৷ আশাকরি সবাই সুখে শান্তিতে আছেন৷ যে যাই বলুক, আমি বরাবরই ডয়চে ভেলেকে দায়িত্ববান ও নিরপেক্ষ মিডিয়া হিসেবে দেখছি৷ বিচ্ছিন্ন দু-একটি ভুল অব্যবস্থাপনা হতেই পারে৷ যেমন একই কুইজে একজন পায় পেন্সিল, আরেকজন পায় আইপড৷ এছাড়াও সব প্রতিযোগিতা গুটিয়ে নিয়ে একমাত্র অন্বেষণ কুইজ নির্ধারণ করা, ‘শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক’ বাদ দেয়া৷ এ সব খুটিনাটি বিষয় পাঠকদের আরো দূরে ঠেলে দিচ্ছে বলে আমার ধারণা৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মূল লক্ষ্য ডয়চে ভেলে
দুই প্রজন্মের দুই দেশের দু’জন শ্রোতাবন্ধু৷ ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান শোনার মধ্য দিয়ে যাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে৷ হুগলি জেলার প্রয়াত বন্ধু মদন গোপাল মুখার্জী , যিনি বাংলা অনুষ্ঠানের শুরুর সময় থেকেই ডয়চে ভেলের সাথে ছিলেন৷ যার চিঠির প্রায় পুরোটা জুড়েই থাকতো অনুষ্ঠান বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা৷ যা কর্মীদের অনুষ্ঠান সাজাতে ভাবাতো৷ মদনের বাড়িতে গোপালগঞ্জের বন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার অনুষ্ঠান বিষয়ে আলোচনা করছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
একসাথে রেডিও শুনবো
প্রায় ১৫ বছর আগে পাঠানো একটি ছবি, তখন এভাবেই ডয়চে ভেলে অনুষ্ঠানের ভক্ত বন্ধুরা গ্রামে সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে একসাথে শর্টওয়েভ-এ তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান শুনতেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ক্লাবগুলোর মধ্যে একতা
কপিলমুনি, খুলনার সুন্দরবন ইন্টারন্যাশনাল যে ক্লাবটি গঠিত হয়েছিলো প্রায় ২২ বছর আগে৷ ছবিতে ক্লাবের সভাপতি আরশাদ আলী বিশ্বাস, বিকাশ রঞ্জন ঘোষকসহ অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে করা হয়েছিলো বিশাল আয়োজন যাতে অংশ নিয়েছিলো সে সময়ের বেশ কয়েকটি সক্রিয় ক্লাব৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলেকে চিঠি লিখতে চাই নীরবতা
১৯৯৪ সালে পাঠানো ছবিতে দেখা যাচ্ছে কুড়িগ্রামের শাপলা শর্টওয়েভ শ্রোতাসংঘের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মাষ্টারকে৷ যিনি নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে আমাদের কাছে তার মূল্যবান মতামত পাঠাতেন লম্বা লম্বা চিঠিতে৷ শর্টওয়েভ বন্ধ হয়ে যাবার পর তাঁকে আমরা সেভাবে আর না পেলেও একেবারে হারিয়ে যাননি ডয়চে ভেলে থেকে৷ মাঝে মধ্যে ছোট্ট করে এসএমএস-এ জানিয়ে দেন তিনি আছেন আমাদের সাথে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মনে পড়ে ছাত্র জীবনের কথা
কুষ্টিয়ার ফ্রেন্ডস রেডিও লিসনার্স ক্লাব, বর্তমানে যে ক্লাবটি ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব ঢাকা নামে পরিচিত৷ প্রায় ১৩ বছর আগে ক্লাবের সভাপতি সোহেল রানা হৃদয় যখন ছাত্রাবস্থায় ছিলেন তখন ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে তোলা এই ছবিটি পাঠিয়েছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
যানবাহনেও ডয়চে ভেলে
সুর সংলাপ রেডিও ক্লাব, যশোরের বন্ধু মো.মুজিবুল হক এই ছবিটি পাঠিয়েছেন ১৯৯৯ সালে৷ রাস্তায় গাড়িতে গাড়িতে ডয়চে ভেলের স্টিকার লাগিয়ে এভাবেই ক্লাবের সদস্যরা ডয়চে ভেলেকে আরো পরিচিত করিয়েছেন, জনপ্রিয় করেছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলে থেকে পাওয়া উপহার
কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহের দিশারী রেডিও শ্রোতাসংঘের পক্ষ থেকে শ্রোতাবন্ধু শামীম উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে জনপ্রিয় করতে আয়োজন করেছিলেন একটি প্রতিযোগিতার৷ বিজয়ীদের অন্যান্য পুরস্কারের পাশাপাশি ডয়চে ভেলে থেকে পাঠানো উপহারও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
সবকিছুতেই ডয়চে ভেলে
মুর্শিদাবাদের কয়েকটি ক্লাব মিলে আন্তর্জাতিক বেতার প্রদর্শনী ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো, লক্ষ্য ডয়চে ভেলেকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া৷ ছবিতে বিজয়ী বন্ধু আরতি মজুমদার, ( যিনি ডয়চে ভেলেকে নিয়ে বিস্মৃত ডাক নামে বইও লিখেছেন৷ সহিদুল হকও অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ছবিটি পাঠিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু বিশ্বনাথ মণ্ডল ১০৯৯ সালে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
পুরানো সেই দিনের কথা
এ ছবিটিও ১৯৯৯ সালে তোলা ডয়চে ভেলের চিঠিপত্র বিভাগে কর্মীদের নিয়ে৷ তখন এভাবেই ডাকে শ্রোতাবন্ধুদের চিঠি এসে পাহাড় জমে যেতো৷ ছবিতে নুরুননাহার সাত্তার সহ হিন্দি, ইংরেজি এবং ইন্দোনেশীয় ভাষার কর্মীদের দেখা যাচ্ছে চিঠিপত্র বিভাগের প্রধান ড.অলিভার স্যোলনারকে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
আজকের প্রযুক্তি
আগের ছবিগুলো ১০ থেকে ২০ বছরের পুরনো৷ দেখাই যাচ্ছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে কলকাতার বন্ধু স্বপন চক্রবর্তী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন৷ ছবিতে এই মিষ্টি মেয়েটি শ্রোতাবন্ধু স্বপনের ‘সৃষ্টি’৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
তবে টিভি অনুষ্ঠান অন্বেষণে আপনাদের এখন বাংলার ঘরে ঘরে মানুষ দেখছে৷ ডয়চে ভেলে না থাকলে জার্মানি সম্পর্কে কিছুই জানতাম না৷
জার্মানি তথা ইউরোপের অনেক তথ্য জানতে পারছি ডয়চে ভেলের কল্যাণে৷ শ্রোতা সম্মেলনে ডয়চে ভেলের অনেকের সাথে একান্ত সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে, কথা হয়েছে৷ সে স্মৃতি মনে পড়ে যায়৷ একসময় আমার জন্য ফেসবুক বা ইন্টারনেট ছিল অসাধ্য, অকল্পনীয় একটি ব্যাপার৷ আর বর্তমানে সব কিছুই হাতের মুঠোয় পেয়ে চলেছি৷ আপনাদের পুরস্কার গ্রুন্ডিক রেডিও কি শেষ হয়ে গেছে? ডা. এস এম এ হান্নান, হরিপুর, চাটমোহর, পাবনা থেকে পাঠিয়েছেন এই ই-মেলটি৷
- ভাই হান্নান, আপনার ই-মেলের উত্তর না দিলে কিছু কথা না বলা বা অস্পষ্ট রয়ে যাবে৷ যেমন আপনি লিখেছেন, ‘‘একই কুইজে একজন পায় পেন্সিল, আরেকজন পায় আইপড’৷ এটাকে আপনি অব্যবস্থাপনা বলে মন্তব্য করেছেন৷ আসলে ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়৷ ডয়চে ভেলে আয়োজিত বেশিরভাগ কুইজেই বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার থাকে আর সে কথা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়৷ যে সপ্তাহে অন্বেষণ কুইজের পুরস্কার পেন্সিল বক্স থাকে তখন সেটারই ছবি দেওয়া হয়ে থাকে ফেসবুকে৷
‘শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক’ বিষয়ে বলতে হয়, কাদের নিয়ে হবে এই প্রতিযোগিতা? আগে হাজারো চিঠি থেকে আমাদের শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক নির্বাচন করতে হিমশিম খেতে হতো৷ আর আজকাল ওয়েবসাইটে দেওয়ার মতো ই-মেলই খুঁজে পাওয়া যায় না৷ এই প্রতিযোগিতাটি চালু রাখতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই আর সে কথা আমরা আগেও জানিয়েছি এবং এখনো একই কথা বলছি৷ প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের কাছে অনুরোধ, আবার লিখুন আগের মতো৷ একমাত্র তবেই আগের মতো ‘শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক’ নির্বাচন করা সম্ভব!
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ