বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে ডিডাব্লিউ-র কুইজ | পাঠক ভাবনা | DW | 28.05.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে ডিডাব্লিউ-র কুইজ

প্রিয় ডয়চে ভেলে, আমি আপনাদের কাছে আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে কুইজের আয়োজন করার কথা বলে ছিলাম, কিন্তু তার কোনো পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারলাম না৷ এভাবেই লিখেছেন মিজানুর রহমান৷

সিরাজগঞ্জ থেকে মিজানুর রহমান অনুরোধ করেছেন, আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে একটি বিশেষ কুইজের আয়োজন করুন৷ আমার যে একটি আইপড-এর সখ অনেক দিনের সেটা মনে আছে তো আপনাদের? নিয়মিত অন্বেষণ অনুষ্ঠান দেখছি, ভালো লাগছে৷

- বন্ধু মিজান, আপনার যে একটি আপডের সখ সে কথা আমাদের অবশ্যই মনে আছে৷ তবে আমাদের এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই৷ আপনি নিয়মিত ফেসবুকে অন্বেষণ কুইজে অংশ নিন৷ আমাদের বিশ্বাস, আপনি অবশ্যই একবার বিজয়ী হয়ে একটি ‘আইপড’ পুরস্কার হাতে পাবেন৷ আপনাকে এবং অন্য বন্ধুদের অনুরোধ করছি, নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন, তাহলেই জানতে পারবেন বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে ডয়চে ভেলের আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার কথা৷

পরের ই-মেলটি পাঠিয়েছেন মো. কামাল হোসাইন, জগন্নাথদী, মোল্যা বাড়ি, মধুখালী, ফরিদপুর থেকে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার শুভেচ্ছা নেবেন৷ আশাকরি সকলে ভালো আছেন৷ শর্টওয়েভ এবং এফএম-এ, অর্থাৎ রেডিও অনুষ্ঠান না থাকায় আমরা আর আগের মতো চিঠি লিখি না৷ কিন্তু বিশ্বকাপ সামনে রেখে না লিখে আর থাকতে পারলাম না৷ আমরা যাঁরা জার্মানিকে সাপোর্ট করি, তারা তো আর এ সময়ে জার্মানিকে ভুলতে পারি না৷ যদিও জার্মানি আমাদের ভুলে গেছে! যাই হোক, বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে জার্মানি থেকে খেলোয়াড়দের গ্রুপ ছবি পাঠালে খুশি হবো৷ ভাববো ডয়চে ভেলে আমাদের ভুলে যায়নি৷ আমি ফেসবুকে নিয়মিত ভিজিট করে থাকি এবং কমেন্ট করে থাকি৷ বিশ্বকাপে জার্মানির সাফল্য কামনা করছি এবং আরোও লেখার প্রত্যাশা রাখছি৷ অবশেষে আপনাদের পাঠানো চিঠির অপেক্ষায় রইলাম৷’’ মো. কামাল হোসাইন, জগন্নাথদী, মোল্যা বাড়ি, মধুখালী, ফরিদপুর৷

‘‘বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকার শুভেচ্ছা নেবেন৷ আশাকরি সবাই সুখে শান্তিতে আছেন৷ যে যাই বলুক, আমি বরাবরই ডয়চে ভেলেকে দায়িত্ববান ও নিরপেক্ষ মিডিয়া হিসেবে দেখছি৷ বিচ্ছিন্ন দু-একটি ভুল অব্যবস্থাপনা হতেই পারে৷ যেমন একই কুইজে একজন পায় পেন্সিল, আরেকজন পায় আইপড৷ এছাড়াও সব প্রতিযোগিতা গুটিয়ে নিয়ে একমাত্র অন্বেষণ কুইজ নির্ধারণ করা, ‘শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক’ বাদ দেয়া৷ এ সব খুটিনাটি বিষয় পাঠকদের আরো দূরে ঠেলে দিচ্ছে বলে আমার ধারণা৷

তবে টিভি অনুষ্ঠান অন্বেষণে আপনাদের এখন বাংলার ঘরে ঘরে মানুষ দেখছে৷ ডয়চে ভেলে না থাকলে জার্মানি সম্পর্কে কিছুই জানতাম না৷ জার্মানি তথা ইউরোপের অনেক তথ্য জানতে পারছি ডয়চে ভেলের কল্যাণে৷ শ্রোতা সম্মেলনে ডয়চে ভেলের অনেকের সাথে একান্ত সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে, কথা হয়েছে৷ সে স্মৃতি মনে পড়ে যায়৷ একসময় আমার জন্য ফেসবুক বা ইন্টারনেট ছিল অসাধ্য, অকল্পনীয় একটি ব্যাপার৷ আর বর্তমানে সব কিছুই হাতের মুঠোয় পেয়ে চলেছি৷ আপনাদের পুরস্কার গ্রুন্ডিক রেডিও কি শেষ হয়ে গেছে? ডা. এস এম এ হান্নান, হরিপুর, চাটমোহর, পাবনা থেকে পাঠিয়েছেন এই ই-মেলটি৷

- ভাই হান্নান, আপনার ই-মেলের উত্তর না দিলে কিছু কথা না বলা বা অস্পষ্ট রয়ে যাবে৷ যেমন আপনি লিখেছেন, ‘‘একই কুইজে একজন পায় পেন্সিল, আরেকজন পায় আইপড’৷ এটাকে আপনি অব্যবস্থাপনা বলে মন্তব্য করেছেন৷ আসলে ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়৷ ডয়চে ভেলে আয়োজিত বেশিরভাগ কুইজেই বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার থাকে আর সে কথা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়৷ যে সপ্তাহে অন্বেষণ কুইজের পুরস্কার পেন্সিল বক্স থাকে তখন সেটারই ছবি দেওয়া হয়ে থাকে ফেসবুকে৷

‘শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক’ বিষয়ে বলতে হয়, কাদের নিয়ে হবে এই প্রতিযোগিতা? আগে হাজারো চিঠি থেকে আমাদের শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক নির্বাচন করতে হিমশিম খেতে হতো৷ আর আজকাল ওয়েবসাইটে দেওয়ার মতো ই-মেলই খুঁজে পাওয়া যায় না৷ এই প্রতিযোগিতাটি চালু রাখতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই আর সে কথা আমরা আগেও জানিয়েছি এবং এখনো একই কথা বলছি৷ প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের কাছে অনুরোধ, আবার লিখুন আগের মতো৷ একমাত্র তবেই আগের মতো ‘শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক’ নির্বাচন করা সম্ভব!

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন