বিশ্ব কোলাকুলি দিবস: কিছু তথ্য
২১ জানুয়ারি বিশ্ব কোলাকুলি দিবস৷ একে অপরকে জড়িয়ে ধরার গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে প্রতিবছর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে৷
বিশ্ব কোলাকুলি দিবস
মার্কিন নাগরিক কেভিন জবোর্নির উদ্যোগে ১৯৮৬ সালে মিশিগানে প্রথম কোলাকুলি দিবস পালিত হয়েছিল৷ জবোর্নি মনে করতেন ‘মার্কিন সমাজ প্রকাশ্যে আবেগ দেখাতে অস্বস্তিতে ভোগে’৷ এই পরিস্থিতি থেকে মার্কিনিদের বের করে আনতে তিনি এমন দিবসের সূচনা করেছিলেন৷ পরে এটিই বিশ্ব কোলাকুলি দিবস হয়ে ওঠে৷
ট্রাম্পের ভুল
বিশ্ব কোলাকুলি দিবসের উদ্দেশ্য মানুষের প্রতি আবেগ, অনুভূতি দেখানো; কোনো বস্তুর প্রতি নয়৷ কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মনে হয় এটি বুঝতে পারেননি, কিংবা বুঝতে চাননি৷ তাইতো দেশপ্রেম দেখাতে পতাকাকে জড়িয়ে ধরেছেন তিনি৷
স্বাস্থ্যকর বিষয়
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ব্রেন রিসার্চ ২০১৩ সালে জানায়, কোলাকুলি, আলিঙ্গন ও চুমু খাওয়া- এগুলো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস৷ এবং এগুলো মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়৷ এছাড়া রক্তচাপ কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আলিঙ্গন৷
অক্সিটোসিন হরমোন
কোলাকুলি কিংবা কাউকে জড়িয়ে ধরার সময় মানুষের শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন উৎপাদিত হয়৷ ফলে একে ‘আলিঙ্গন হরমোন’ও বলা হয়৷ সন্তান জন্ম দেয়া ও তাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন উৎপাদন হয়, যা মা ও শিশুর বন্ধনকে মজবুত করে৷
দুজনেরই মত থাকতে হবে
কোলাকুলি করলে দুই ব্যক্তিরই মানসিক চাপ কমে৷ কিন্তু জড়িয়ে ধরার সময় যদি দুই পক্ষেরই মত না থাকে, তাহলে একজনের ক্ষেত্রে ফল উলটো হতে পারে৷ কারণ সেক্ষেত্রে যাঁর সম্মতি নেই, তাঁর শরীরে কোর্টিসল হরমোন উৎপাদিত হয়ে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হতে পারে৷ অর্থাৎ পরস্পরের সম্মতি থাকলেই কেবল আলিঙ্গন করা উচিত৷
ঐতিহাসিক চুমু
ছবিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে (বামে) সাবেক পূর্ব জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধান এরিখ হনেকারকে চুমু খেতে দেখা যাচ্ছে৷ এই সময় হনেকারের শরীরে কি স্ট্রেস হরমোন কোর্টিসল বয়ে যাচ্ছিল? এর উত্তর হয়ত কখনও জানা যাবে না৷ তবে বার্লিন প্রাচীর পতনের আগের এই ছবিটি ঐতিহাসিক হয়ে রয়েছে৷
রাজনৈতিক গুরুত্ব
বিশ্ব নেতাদের অনেকে সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন, কোলাকুলি করেন৷ এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ যে বিশ্ব নেতার সঙ্গেই তাঁর দেখা হয় প্রায় সবার সঙ্গেই তিনি কোলাকুলি করেন৷ অন্যরা তা পছন্দ করছেন কিনা, অনেক সময় তা বিবেচনায় নেন না তিনি৷
প্রাণীদের ভালোবাসা
শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিরাও ভালোবাসা প্রকাশের সময় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে৷