1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব উষ্ণতা ঠেকাতে নেতৃত্ব দিক চীন, বললেন বান কি মুন

২৫ জুলাই ২০০৯

বিশ্বজোড়া পরিবেশ সমস্যার সমাধানে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিক চীন৷ জাতিসংঘের মহাপরিচালক বান কি মুন আন্তরিকভাবে চাইছেন এমনটাই৷চীন সফরে গিয়েই তাঁর প্রথম বক্তব্যে একথাই বললেন বান কি মুন৷

https://p.dw.com/p/Ix5K
অনেক প্রত্যাশা নিয়ে চীন সফরে এখন বান কি মুন৷ছবি: AP

পরিবেশ সমস্যা বা বিশ্ব উষ্ণতার সমাধানকল্পে পরিচ্ছন্ন দূষণমুক্ত জ্বালানী ব্যবহার করে এবং ‘সবুজ' অর্থনীতিতে আরও বেশি বিনিয়োগ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির সামনে নিজেদের আদর্শ হিসেবে তুলে ধরুক চীন৷ তিনদিনের জন্য চীন সফরে গিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন শুক্রবার বেইজিং-এ শুরুতেই বললেন তাঁর এই আর্জির কথা৷ শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও-এর সঙ্গে তাঁর বৈঠক৷ তার আগেই চীনের মত ব্যাপকহারে শিল্পোদ্যোগী দেশের সামনে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যটি তিনি জানিয়ে রাখলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

BdT Greenpeace-Jugendliche demonstrieren
পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের ছবি৷ জাতিসংঘ চাইছে এই উদ্যোগে এগিয়ে আসুক চীন৷ছবি: AP

চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও -এর সঙ্গে বান কি মুন বৈঠক করেছেন শুক্রবারেই৷ শিল্পক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া চীনের আন্তর্জাতিক পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে দায়িত্ব সম্পর্কে ওই বৈঠকেও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কথা জিয়াবাওকে স্মরণ করিয়ে দেন বান কি মুন৷ জিয়াবাও বান কি মুন বৈঠকের পর চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র ইয়াং জিয়েচি জার্মান সংবাদসংস্থা ডি পি এ কে জানান, বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দা, বিশ্ব উষ্ণতা এবং খাদ্য নিরাপত্তার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে জাতিসংঘ চীনের সঙ্গে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে৷ জিয়েচি জানান, এ বিষয়ে বেইজিং জাতিসংঘকে তাদের যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ওই বৈঠকে৷

বস্তুত চীনের অভ্যন্তরে দূষণের পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে চীনকে অনেকদিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলি৷ শিল্পক্ষেত্রে এবং অন্যত্র পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত জ্বালানী ব্যবহারের বিষয়ে চীনকে আরও চাপ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বান কি মুনের এই চীন সফর৷ আগামী ডিসেম্বর মাসের ৭ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনে কিয়োটো প্রটোকলের পরবর্তী আন্তর্জাতিক পরিবেশ চুক্তি বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে৷ পরিবেশের জন্য প্রভূত ক্ষতিকারক কার্বন দূষণের মাত্রা কমানোর ব্যাপারে চীন এবং ভারতের মত শিল্পক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে এই চুক্তির আওতায় আনতে এখন বদ্ধপরিকর জাতিসংঘও৷ বস্তুত চলতি বছরে বিশ্ব পরিবেশের সুরক্ষার ব্যাপারে অনেক বেশি উদ্যোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ৷

যে কারণে বান কি মুন শুক্রবার জোর দিয়েই বলেছেন, চীনের সামনেই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সুযোগ কোপেনহেগেন সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পরিবেশ চুক্তি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব গ্রহণ করা৷ সেক্ষেত্রে এখন থেকেই চীন এলাকায় তো বটেই আন্তর্জাতিক স্তরেও নিজেদের আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে এগিয়ে আসতে পারে৷

পাশাপাশি শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও-এর সঙ্গে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক উচ্চাশা নিয়েও আলোচনা করতে পারেন জাতিসংঘ মহাসচিব৷ প্রসঙ্গত, চীনের প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতিতেও বেইজিং-এর সাহায্য ও সমর্থনের ওপরই মূলত নির্ভরশীল৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন