1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ব্যাংকক অবরোধ'

১৩ জানুয়ারি ২০১৪

বিরোধীদের আন্দোলনে ব্যাংকক প্রায় অচল৷ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী অবরুদ্ধ করার কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা৷ প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1ApY5
Thailand Proteste 13.01.2014
ছবি: picture alliance/AP Photo

সোমবার রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় নেমে আসে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী৷ দ্য পিপলস ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস কমিটি (পিডিআরসি)-র আহ্বানে ব্যংকক অবরুদ্ধ করার কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সমবেত করেছেন তাঁরা৷ তবে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাধা না এলে বা তাঁদের দাবিতে অবিলম্বে সাড়া দিলে বাস এবং অন্যান্য যান চলাচলে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হবে না৷

এদিকে ব্যাংককের একটি সরকারি ভবনের ওপর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বন্দুকধারীর চালানো গুলিতে এক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন৷ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান কার্যালয় থেকে আরেক ব্যক্তি গুলিবর্ষণ করলেও তাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কোনো বিরোধ নেই৷ বরং থাইল্যান্ডের এই বিরোধীদল প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে৷

এর আগে বিরোধীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয় ইংলাক সরকার৷ কিন্তু নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে না নেয়ায় বিরোধীদের আন্দোলন এখনো চলছে৷ থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পিছানোর প্রস্তাব দিয়েছিল৷ ইংলাক সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পিছানো সম্ভব নয়৷ তবে সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন পিছানোর বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার মহাসচিব সুরানন্দ ভেজ্জাজিভা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে এখনও কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে৷ অস্পষ্টতা দূর করে সমস্যা সমাধানের সেরা উপায় হচ্ছে আলোচনা৷''

Thailand Premierministerin Yingluck Shinawatra
প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেনছবি: Reuters

গত ১ নভেম্বর ক্ষমতাসীন জোট সরকার ক্ষমতাচ্যুত এবং দেশান্তরিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর বিরুদ্ধের সব অভিযোগ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ৷ ইংলাকের বড় ভাই থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর দেশ ছাড়েন তিনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগে মামলা হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা বড় ভাইয়ের মতোই দেশ চালাচ্ছেন – এই অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন সুতেপ তাউকসুবান৷ বিক্ষোভ ব্যাপক রূপ নেয়ায় নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন ইংলাক৷ তবে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ইংলাককে ক্ষমতায় রেখে তাঁরা কোনো নির্বাচনে যাবেন না৷

২০১১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে পুয়েআ থাই পার্টির নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন করেন ইংলাক৷ দেশের দরিদ্র অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে জনপ্রিয় পুয়েআ থাই পার্টির আসন্ন নির্বাচনেও জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি৷

এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য