1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমানবন্দরে ঝক্কি কমাতে আসছে তল্লাশি যন্ত্র

৮ জুন ২০১১

বিমানযাত্রা মানেই নানা ঝক্কি – পাসপোর্ট-ভিসা পরীক্ষা, শরীর ও মালপত্রের তল্লাশি ইত্যাদি৷ এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে৷

https://p.dw.com/p/11Wdy
An armed Swiss police officer, right, stands guard next to a Passenger Security employee of the Geneva airport, center, who frisks a passenger at a security checkpoint at the Swiss International Airlines boarding gate of a flight to New York, at Geneva International Airport, in Geneva, Switzerland, Tuesday, August 15, 2006. The prohibition to transport liquids in the hand luggage and the body search of the passengers was required by the US government for all the planes going to the US. (KEYSTONE/Salvatore Di Nolfi)
এ ধরনের ঝামেলায় আর পড়তে হবে না!ছবি: AP

গোটা বিশ্বজুড়ে পাসপোর্টের অপব্যবহার বন্ধ করতে পাসপোর্টের মধ্যে ‘চিপ' বসানোর উদ্যোগ আগেই শুরু হয়ে গেছে, যাতে যন্ত্রের সাহায্যেই চিপ'এর মধ্যে সংরক্ষিত তথ্য পড়ে নেওয়া সম্ভব হয়৷ চিপ'এর মধ্যে ভরা আঙুলের ছাপ সহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে যে কোনো ব্যক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব৷ সেইসঙ্গে চোখের রেটিনা স্ক্যান করতে পারলে যাত্রীর পরিচয় সম্পর্কে আর কোনো সন্দেহই থাকবে না৷ এই পদ্ধতি বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারলে বিমানবন্দরে চেক-ইন প্রক্রিয়া কত সহজ হয়ে উঠতে পারে, মঙ্গলবার থেকে তারই পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে৷

আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংগঠন ‘আয়াটা' ভবিষ্যতের এই চেকপয়েন্ট গড়ে তুলেছে বিমানবন্দরে৷ কোনো যাত্রী ৬.১ মিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে হেঁটে গেলেই তাঁর শরীর ও মালপত্রের তল্লাশির কাজ হয়ে যাবে৷ জুতো বা মালপত্রের মধ্যে তরল পদার্থ বা বিস্ফোরকের মতো কোনো ক্ষতিকারক বস্তু থাকলে তা ধরা পড়ে যাবে৷ নিরাপত্তা কর্মীরা শরীর হাতড়ে বা কিছু জামাকাপড় খুলিয়ে পরীক্ষা করবেন না, সবার সামনে সুটকেস খুলে জিনিসপত্র বেরও করতে হবে না৷ কর্মীদের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি, কথা-কাটাকাটি, বিরক্তির কোনো কারণ থাকবে না৷ তাছাড়া তল্লাশির কাজ দ্রুত হলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিমান সংস্থার কাজও অনেক সহজ হয়ে যাবে৷ বর্তমানে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য গড়ে ৩৫ মিনিট সময় লাগে৷ নতুন পদ্ধতিতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তল্লাশি ও সনাক্ত করার কাজ সেরে ফেলা যাবে৷ সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় গত প্রায় এক দশক ধরে বিমানবন্দরে কড়াকড়ি যেভাবে বেড়ে গেছে, তার ফলে অনেক যাত্রী বিরক্ত হয়ে রেল বা সড়কপথে যাত্রা করছেন৷ নতুন ব্যবস্থা চালু করতে পারলে তাদের আবার বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে, ব্যবসা বাড়বে বলে মনে করছে ‘আয়াটা'৷ উল্লেখ্য, বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে মুনাফা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে বলে ‘আয়াটা' জানিয়েছে৷ গত বছর ১,৮০০ কোটি ডলারের তুলনায় এবছর এখনো পর্যন্ত মাত্র ৪০০ কোটি ডলার মুনাফা এসেছে৷

মার্কিন পরিবহন কর্তৃপক্ষ আগামী ৫ বছরের মধ্যেই নতুন এই পদ্ধতি চালু করতে পারবে বলে আশা করছে৷ গত ৬ মাস ধরে অ্যামেরিকায় এমন এক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যার আওতায় প্রথমে ঝুঁকি অনুযায়ী যাত্রীদের ভাগ করে কাউকে বেশি, কাউকে কম তল্লাশি করা হবে৷ যারা ঘনঘন যাতায়াত করেন এবং যাদের রেকর্ড'এ কোনো কলঙ্ক নেই, তাদের অযথা বেশি তল্লাশি করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷ কিছু বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক