বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের পর ইন্দোনেশিয়ায় কষ্টসাধ্য উদ্ধারকাজ
ঘূর্ণিঝড় সেরোজার আঘাতে লন্ডভন্ড ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনো চলছে উপদ্রুতদের উদ্ধারের কাজ৷ ছবিঘরে দক্ষিণ-পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার মানুষদের উদ্ধারের দৃশ্য...
উদ্ধারকাজে দেরি...
সেরোজা রবিবার ইন্দোনেশিয়ার ইস্ট নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের ইস্ট ফ্লোরেসে আঘাত হানলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য তখন উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি৷ মঙ্গলবার উপদ্রুত এলাকায় দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টার পাঠানো হয়৷ ওষুধ, খাবার, পানি আর কম্বল পাঠানো হয় জাহাজে৷
ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি-র তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ১১৯ জন মারা গেছে, এখনো নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ৭৬ জন৷ একটি হাসপাতালসহ অন্তত ২০০০ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ছবিতে ইস্ট ফ্লোরেসে ঘূর্ণিঝড়ে উল্টে যাওয়া ট্রাকের পাশে ভেঙে পড়া গাছে বসে আছেন দু’জন৷
আপনজন হারানোর কান্না
পরিবারের এক সদস্যের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক নারী৷
শুধু স্বজন হারানোর খবর
অনেকেই স্বজনদের উদ্ধারের জন্য ছুটে যাচ্ছেন ইস্ট ফ্লোরেসে৷ মৃতদেহ দেখে এগিয়ে যাচ্ছেন কাছে৷ চেনামুখ দেখে এভাবে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন অনেকেই৷
বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘর
ইস্ট নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের ইস্ট ফ্লোরেসে ঘূর্ণিঝড় এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেখা দেয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু বাড়ি-ঘর৷
মৃতদেহের খোঁজে
এখনো অন্তত ৭৬ জন মানুষের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ তাই উদ্ধারকর্মীরা এভাবে নানা জায়গায় খুঁজে চলেছেন মৃতদেহ৷
কাদার নদী
ঘূর্ণিঝড় থেমেছে, বন্যার পানিও নেমে যাচ্ছে ধীরে ধীরে৷ ছবির এই এলাকার মতো এখন অনেক জায়গাতেই চোখে পড়ে শুধু কাদা আর কাদা, যেন বয়ে চলেছে এক কাদার নদী৷