বিদ্যুৎ না থাকায় জাপানের বিশাল অংশ অন্ধকারে
২২ মার্চ ২০১১ভূমিকম্প এবং সুনামি আক্রান্ত জাপানের উত্তর পূর্বাঞ্চলে এখনও দুর্যোগের বিভীষিকা কাটেনি৷ প্রতিদিনই চলছে উদ্ধারকাজ এবং দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ৷ এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজারের কিছু বেশি, নিখোঁজ সাড়ে ১২ হাজারেরও ওপর৷ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বাস করছে প্রায় ৩১০,০০০ হাজার মানুষ৷
এদিকে মঙ্গলবার জাপানের একটি বিশাল এলাকাতে বিদ্যুৎ চলে গেছে৷ প্রায় এক কোটি বাড়িতে এখন বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ডিপিএ৷ স্থানীয় সময় সকাল নয়টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়৷ কিয়োডো বার্তা সংস্থা জানিয়েছে যে রাত ১০টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে পারে৷ কিয়োটো ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি জানিয়েছে যে বর্তমান উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে৷ বিশেষ করে সোমবার সরকারি ছুটি শেষে মঙ্গলবার থেকে কর্মদিবস শুরু হয়েছে জাপানে, ফলে বিদ্যুৎ এর ব্যাপক চাহিদা বেড়ে গিয়েছে৷ এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় উদ্ধার কাজ এবং নিহতদের মৃতদেহ সংরক্ষণ বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে৷
জাপানের দুর্গত অঞ্চলে উদ্ধার কাজের পাশাপাশি নিহতদের সৎকারের কাজও চলছে৷ তবে প্রথা অনুযায়ী তাদের সৎকার না করে আপাতত কবর দেওয়ার কাজ চলছে বলে জানা গেছে৷ মিয়াগি অঞ্চলের হিগাশিমাতসুশিমা শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এখন পর্যন্ত এক হাজার মানুষকে কবর দেওয়ার জন্য জায়গা কিনেছে৷ তবে শহরের মেয়র হিদেও আবে জানিয়েছেন যে এটি আপাতত একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা৷ দুই বছর পর এই নিহতদের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে প্রথানুযায়ী সৎকার করা হবে৷ উল্লেখ্য, জাপানের বেশিরভাগ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী৷
এদিকে অনেক অঞ্চলে এখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়েছে৷ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোর ভোগান্তি তাতে কেবল বাড়ছে৷ জানা গেছে, মোরোইকা শহরে এখন তাপমাত্রা মাইনাস দুই, অন্যদিকে সেন্দাই শহরে তাপমাত্রা মাইনাস তিন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন