1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি নাম হলেই বৈষম্য?

ফুখস রিশার্ড/আরবি৫ এপ্রিল ২০১৪

জার্মানিতে শিক্ষানবিশের কাজ পাওয়া বিদেশি বংশোদ্ভূত তরুণদের জন্য সহজ নয়৷ একথাটা সবাই জানে৷ কিন্তু নতুন এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে নামের কারণেও তাঁদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়৷

https://p.dw.com/p/1Bbzd
Erste Absolventen der IUB
ছবি: picture-alliance / dpa/dpaweb

জার্মানি সমানাধিকার ও সমান সুযোগের দেশ বলে পরিচিত৷ কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষার ফলাফল দেখে এ ব্যাপারে সন্দেহ জাগে৷ গবেষকরা সমীক্ষায় দেখিয়েছেন একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অভিবাসীদের সন্তানদের শিক্ষানবিশির কাজ পেতে বৈষম্যের শিকার হন৷

বৈষম্যজনিত সমস্যা

‘‘জার্মানিতে আমাদের গুরুতর বৈষম্যজনিত সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়'', বলেন ইয়ান শ্নাইডার৷ তিনি সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছেন৷ ৩৬০০ ‘টেস্ট-আবেদনপত্রের' মূল্যায়ন করে যে ফলাফল তিনি পেয়েছেন, তা তাঁকে উদ্বিগ্ন করে তোলে৷

আবেদনপত্রে তুর্কি নাম থাকলে পরীক্ষায় একই ধরনের ফলাফল করা সত্ত্বেও জার্মানদের ইন্টারভিউতে ডাক পড়ার সম্ভাবনা বেশি, বলেন স্নাইডার৷

গবেষকরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষানবিশের বিজ্ঞাপন দেখে সমীক্ষাটি চালান৷ এতে একটি আবেদনপত্রে তুর্কি নামের একজন অন্য আরেকটি আবেদনপত্রে জার্মান নামের আর একজনকে দিয়ে একই পদের জন্য দরখাস্ত করান তাঁরা৷ এই দুই টেস্ট-প্রার্থী সারা জার্মানিতে ১৮০০ প্রতিষ্ঠানে মোটর গাড়ির মেকানিকস এবং অফিস ক্লার্কের শিক্ষানবিশির পদের জন্য আবেদন করেন৷

জার্মান নামের কল্পিত আবেদনকারী গড়ে পাঁচটি দরখাস্তের পরই সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ পান৷ কিন্তু তুর্কি নামের আবেদনকারী গড়ে সাতটি দরখাস্তের পর ইন্টারভিউ-এর ডাক পান৷

সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এটা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের আকারের ওপর৷ ছয় বা তার চেয়ে কম কর্মী নিয়ে গঠিত যে সব প্রতিষ্ঠান, বৈষম্যও সেখানে বেশি৷ বলেন স্নাইডার৷

গেড়ে বসে বদ্ধমূল ধারণা

সমীক্ষার উদ্যোক্তারা মনে করেন, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অসম আচরণ করেন না৷ নেতিবাচক কিংবা বাঁধাধরা বদ্ধমূল ধারণা তাদের মনে এতটাই গেড়ে বসে, যে তা থেকে বাইরে আসতে পারেন না তাঁরা৷ বিশেষ করে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলির মালিকরা তাদের পরিচিতদের মধ্য থেকে কর্মী নিয়োগ দিতে আগ্রহী৷ গবেষকরা এই ধরনের বৈষম্য দূর করার জন্য কয়েকটি প্রস্তাব রাখেন: প্রথমত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প-কলকারখানাতে আবেদনের প্রক্রিয়াটা সুনির্দিষ্ট মানের হওয়া উচিত৷ দ্বিতীয়ত সমান সুযোগ রক্ষা করতে হলে আবেদনপত্রকে নামহীন করা যেতে পারে৷

‘‘আমরা মনে করি এমন একটি সফট ওয়্যার তৈরি করা উচিত, যার মাধ্যমে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলিও খুব বেশি খরচ না করে এনকোডেড আবেদনপত্রে দেওয়া তথ্য মূল্যায়ন করতে পারে৷'' এর ফলে নামের কারণে বৈষম্য আর ঘটবে না৷

আন্তঃসাংস্কৃতিক বিষয়ক শিক্ষা

এছাড়া প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপরও জোর দিতে হবে৷ গুরুত্ব দিতে হবে আন্তঃসাংস্কৃতিকবিষয়ক শিক্ষার ওপর৷ এতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও প্রশিক্ষকরা সমস্যাটি সম্পর্কে সংবেদনশীল হতে পারেন৷

কেননা আজ যেখানে জার্মানিতে বিশেষজ্ঞ কর্মী অভাব প্রকট, সেখানে বিষয়টিকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই৷ আবেদনকারীদের সমস্ত সম্ভাবনাকেই কাজে লাগানো উচিত৷ তিনি জার্মান বা অভিবাসী যেই হোন না কেন৷ এই মত প্রকাশ করেন স্নাইডার৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য