1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি উদ্ধারকর্মীদের ইন্দোনেশিয়া ছাড়ার নির্দেশ

৯ অক্টোবর ২০১৮

ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্ধারকর্মীদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জাকার্তা৷ দ্রুত ইন্দোনেশিয়া ছাড়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে তাঁদের৷

https://p.dw.com/p/36Eax
Indonesien medizinische Hilfe aus Deutschland
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Wahil

তবে উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া সরকারকে৷ ২৮ তারিখ ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিধ্বস্ত হওয়া অনেক এলাকায় এখনো উদ্ধারকর্মী পৌঁছাতে পারেনি৷ ফলে এই নির্দেশ অনেকের কাছেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো মনে হচ্ছে৷

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ‘‘যেসব বিদেশি এনজিও বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ করেছে, তাদের দ্রুত ফেরত নিতে হবে৷''

যে-কোনো দুর্যোগেইসচরাচর বাইরের সাহায্য নিতে চায় না ইন্দোনেশিয়া৷ এ বছরের শুরুর দিকে লম্বক দ্বীপে ভূমিকম্পে বিপুল হতাহতের ঘটনা ঘটলেও বিদেশি কোনো সংস্থাকে সাহায্যের অনুমতি দেয়নি দেশটির সরকার৷

এবার অবশ্য দুর্যোগের ভয়াবহতা টের পেয়ে সাথে সাথেই বিদেশের সাহায্য নেয়ার পথ খুলে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার৷ কিন্তু উদ্ধার ও ত্রাণকাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনতে যে অনুমতি প্রয়োজন, তা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন বিদেশি উদ্ধারকর্মীরা৷

কিভাবে কাজ করতে হবে, কিভাবে ইন্দোনেশীয় কর্মীদের সাথে সমন্বয় করতে হবে, সে বিষয়ে পরস্পরবিরোধী নির্দেশনা পাওয়ার কথাও বলছেন তাঁরা৷

অস্ট্রেলিয়ার এবিসি টেলিভিশন জানিয়েছে অতিরিক্ত শ্রমের ফলে ইন্দোনেশীয় উদ্ধারকর্মীরা এরই মধ্যে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন৷ ফলে বিদেশি কর্মীদের দেশ ছাড়ার এমন নির্দেশ তাঁদের আরো বিপর্যস্ত করে তুলবে৷

ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের মতো মানুষের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে৷ আরো পাঁচ হাজার মানুষের এখনও সন্ধান মেলেনি৷

আশংকা করা হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশই পালুর আশেপাশে যে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে, তাতে চাপা পড়ে থাকতে পারেন৷ আশংকা সত্যি হলে এই নিখোঁজ হওয়াদের আর কখনোই উদ্ধার সম্ভব না-ও হতে পারে৷

এডিকে/এসিবি (রয়টার্স)