1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিতর্কে এবার দিল্লির কুতুবমিনারও

২৩ মে ২০২২

কুতুবমিনারের নাম বদলে 'বিষ্ণু স্তম্ভ' করার দাবি। মন্দির-মসজিদ বিতর্কে নতুন সংযোজন কুতুবমিনার।

https://p.dw.com/p/4BihT
কুতুবমিনার
ছবি: IANS

দক্ষিণ দিল্লির অন্যতম আকর্ষণ কুতুবমিনার। কুতুবুদ্দিন আইবকের নির্দেশে তৈরি এই মিনার এবার বিতর্কের কেন্দ্রে। সম্প্রতি কিছু সংবাদে প্রকাশিত হয়, কেন্দ্রীয় সরকার পুরাতত্ত্ব বিভাগকে ওই অঞ্চলে খননকাজের নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে মন্দিরের ভগ্নাবশেষ আছে কি না, তা দেখার জন্য ওই নির্দেশ বলে জানানো হয়। যদিও রোববার কেন্দ্রীয় সরকারের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জি কে রেড্ডি জানিয়েছেন, এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টগুলি ভিত্তিহীন। কিন্তু তাতেই বিতর্ক থেমে যাচ্ছে না। কারণ, একাধিক হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী এ বিষয়ে নানাবিধ দাবি শুরু করেছে। আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছে।

গত শনিবার সংস্কৃতিক সচিব গোবিন্দ মোহন কুতুবমিনার পরিদর্শনে গেছিলেন। তারপরেই খননকাজ নিয়ে একাধিক রিপোর্ট সামনে আসে। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুটিন তদারকির কাজেই সচিব সেখানে গেছিলেন। খননকাজের কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

মথুরার মন্দির-মসজিদ বিতর্ক

কিছুদিন আগে আইনজীবী হরিশংকর জৈন দিল্লি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। জৈন দেবতা তীর্থঙ্কর ঋষভ দেবের প্রতিনিধি হিসেবে ওই মামলা দায়ের করেন তিনি। তার দাবি, কুতুবুদ্দিন আইবক মিনার তৈরির জন্য ২৭টি মন্দির আংশিকভাবে ভেঙেছিলেন। সেই ধ্বংসাবশেষ দিয়েই কুতুব কমপ্লেক্সে তৈরি হয়েছিল মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। হরিশংকরের বক্তব্য, এখনো ওই জায়গায় দুইটি গণেশের মূর্তি আছে। পুরাতত্ত্ব বিভাগ ওই মূর্তি দুইটি ওখান থেকে সরিয়ে যাতে জাদুঘরে স্থানান্তরিত না করে, তার জন্যই ওই মামলা করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত ওই গণেশ মূর্তি সেখান থেকে সরানো যাবে না।

বিষ্ণুশংকর জৈন নামের আরেক ব্যক্তি দিল্লির সাকেত কোর্টে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। মূর্তিগুলিকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে ফের সেখানে পুজো করার আবেদন নিয়ে তিনি মামলা করেছেন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এদিকে একটি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ৪৪ জন ব্যক্তি সম্প্রতি কুতুব কমপ্লেক্সে গিয়ে হনুমান চল্লিশা পড়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের আটক করে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছে, কুতুবমিনারের নাম বদলে বিষ্ণু স্তম্ভ করা হোক। জৈন মন্দির ভেঙে ওই মিনার তৈরি করা হয়েছিল। সে কারণেই নাম বদলের দাবি।

বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরে জ্ঞানবাপী মসজিদ, মথুরায় কৃষ্ণজন্মস্থানে মসজিদ, তাজমহল নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক চলছে। আদালতে শুনানিও চলছে। তারই মধ্যেই কুতুব মিনার নিয়ে এবার নতুন বিতর্ক শুরু হলো।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)