বিজ্ঞাপনে নারী শরীর
এটি একটি বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয়৷ হেলমুট নিউটন থেকে গাই বো দ্যঁ পর্যন্ত বিখ্যাত সব ফ্যাশন ফটোগ্রাফার নারীদের কামনার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করেছেন বিজ্ঞাপনে৷ যুগে যুগে এর বিরোধিতাও হয়েছে, সমর্থনও আছে৷
শৈল্পিক না কামোদ্দীপক?
রং দিয়ে একজন নারী তাঁর শরীর ঢাকছেন৷ ফ্যাশন ব্র্যান্ড লিভাইসের একটি বিজ্ঞাপনের ছবি এটি৷ তুলেছেন ক্রিস্টোফে গিলবার্ট নামের এক ফটোগ্রাফার৷ তাঁর এই সিরিজের ছবিগুলোতে নারীকে ফ্যাশনের চেয়ে কামোদ্দীপক করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে৷ তবে ভিন্নমতও আছে৷
উত্তেজক ভঙ্গি
বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে একটা অভিযোগ সবসময় করা হয় যে, নারীর শরীর বা শরীরের অংশকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে৷ ১৯৯৮ সালের অন্তর্বাসের এই বিজ্ঞাপনটি তেমনই একটি বিতর্কিত ছবি৷
স্বপ্নের জগতে
একজন নারী সুন্দর লাল পোশাকে সজ্জিত, হাতে প্রদীপদান৷ জার্মান ফটোগ্রাফার এলেন ফন উনব্যর্থের এই ছবিতে ফটোগ্রাফির সমসাময়িক ধারণা নিয়ে কাজ করা হয়েছে, যেখানে মূল পণ্যের চেয়ে বরং লাইফস্টাইলকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়৷ এই বিজ্ঞাপনটির পণ্য আসলে ভদকা, যা ছবিতে অতটা প্রাধান্য পায়নি৷
লাইসেন্স টু শক
ফ্রেঞ্চ ফটোগ্রাফার গাই বো দ্যঁ বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফারদের একজন৷ তাঁর ছবি বিখ্যাত ম্যাগাজিন ভোগ-এর সম্পাদকীয় পাতায় ঠাঁই পেয়েছে৷ প্রচুর বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি৷ তাঁর অনেক ছবিই যৌন আবেদনময়৷ কিছু কিছু একেবারে ধাক্কা খাওয়ার মতো বলে সমালোচনা আছে৷
সমুদ্রতীর ও সূর্য
বাস্তবে একটি পারফিউম বোতলের সঙ্গে সমুদ্রতীরের যোগাযোগ থাকার কথা নয়৷ কিন্তু বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় একটি ছোট বোতলও একটি আকর্ষণীয় লাইফস্টাইলের অংশ হতে পারে, যার সঙ্গে একজন রোদে পোড়া আকর্ষণীয়ার নুয়ে পড়া শরীরেরও যোগ থাকতে পারে৷ আশির দশকে বিজ্ঞাপনের জগৎ যৌন আবেদনময়তায় ভরপুর ছিল৷ এই ছবিটি তখনকার সময়ের৷
শিকারী জীবন
ষাটের দশকে ভোগ ম্যাগাজিনে মনে রাখার মতো বেশ কিছু ছবি ছাপানো হয়েছিল ফটোগ্রাফার ফ্রাঙ্কো রুবার্তেল্লির৷ ১৯৬৮ সালের এই ছবিটিতে তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ফেরুস্কা ফন লেনডর্ফকে মডেল বানিয়েছেন৷ যদিও ঔপনিবেশিক যুগের এই ছবি ‘শিকারী জীবন’-এর ‘মুক্ত আত্মা’-কে চিত্রায়িত করছে, তারপরও এর পেছনে নারীকে পণ্য হিসেবে মূর্ত করার বাসনাই প্রকাশ পেয়েছে বলে সমালোচনা আছে৷