বিজ্ঞাপন দেখেই বিশ্বাস করবেন না
বিজ্ঞাপনে যা দাবি করা হয়, পণ্যে অনেক সময়ই তা থাকেনা৷ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে এমন৷ দেখুন বিশ্বে নানান সময় বিজ্ঞাপনের নামে কী করা হয়েছে৷
তিনি মরিয়াও জীবিত...
লিডিয়া ডি পিংকহাম মেয়েদের ঋতুস্রাব এবং মেনোপজ-এর জন্য বিশেষ ধরণের ওষুধ কিনতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতেন৷ ১৮৮৩ সালে ৬৪ বছর বয়সে মারা যান লিডিয়া৷ কিন্তু বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য তাঁর মৃত্যু সংবাদ গোপন রাখা হয়৷ প্রতি সপ্তাহে ওষুধ ব্যবহারকারীদের চিঠির জবাব দিতেন লিডিয়া৷ তাঁর মৃত্যুর পরও বেশ কিছুদিন অনেকে লিডিয়ার কাছ থেকে জবাব পেয়েছেন৷
প্রায় শত বছর আগে ক্যানসার সারানোর দাবি
যুক্তরাষ্ট্রের ডাক্তার উইলিয়াম ফ্রেডেরিক কখ সেই ১৯৪০-এর দশকে দাবি করতেন তিনি গ্লাইক্সিলাইড উদ্ভাবন করেছেন এবং তা দিয়ে অনেক রোগ, বিশেষ করে ক্যানসারও সারানো সম্ভব৷ এ কথা বিশ্বাস করে ৩০০ ডলার দিয়ে একটা ইনজেকশন কিনেও ক্যানসার থেকে পরিত্রাণের চেষ্টা করেছেন কেউ কেউ৷ পরে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক সংস্থাই জানায়, ডা. উইলিয়াম ফ্রেডেরিক কখ আসলে একজন হাতুড়ে ডাক্তার!
মাউথ ওয়াশ নাকি সর্দিকাশিও সারায়
যুক্তরাষ্ট্রের ডা. জোসেফ লিস্টার-এর অসাধারণ এক উদ্ভাবন মাউথওয়াশ ‘লিস্টার’৷ কিন্তু তা দিয়ে কি সর্দি-কাশি সারানো সম্ভব? এক সময় লিস্টার প্রস্তুতকারীরাই দাবি করত, লিস্টার ব্যবহার করলেই সবার সর্দিকাশি অর্ধেক সেরে যাবে৷ এই দাবিও যে মিথ্যা তা বুঝতে বেশিদিন লাগেনি৷
মিষ্টিতেও মিথ্যা
যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম ‘সুইটনার’ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্প্লেন্ডা দাবি করতো, তাদের সুইটনার চিনির মতো, কারণ সুইটনারগুলো আসলে চিনি দিয়েই তৈরি৷ এই দাবি সম্বলিত বিজ্ঞাপনও প্রচার করত স্প্লেন্ডা৷ কিন্তু সুইটনার উৎপাদনকারী আরেক প্রতিষ্ঠান ‘ইকুয়াল’ মামলা ঠুকে দিল৷ আদালতে ইকুয়াল দাবি করে, চিনির কথা বলে স্প্লেন্ডা আসলে ধোঁকাবাজি করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে৷ অভিযোগ সত্যি হওয়ায় ক্ষতিপূরণও পেয়েছিল ইকুয়াল৷
জার্মান কোম্পানির মিথ্যাচার
সাম্প্রতিকতম মিথ্যাচারটি জার্মানির গাড়ি কোম্পানি ফল্কসভাগেন-এর৷ ১৯৫০ এর দশক থেকে ‘থিংক বিগ’ সিরিজের বিজ্ঞাপন প্রচার করে ক্রেতা আকৃষ্ট করছে তারা৷ তাদের ডিজেল গাড়ির কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার ঢুকিয়ে দেয়ায় দূষণ পরীক্ষার সময় গাড়িটি বিষাক্ত গ্যাস কম ছাড়ত৷ পরীক্ষা শেষে গাড়িটি যখন কোনো ব্যবহারকারী রাস্তায় নামাতো, তখন দেখা যেত গাড়িটি এমন হারে গ্যাস ছাড়ছে যা নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ বেশি৷