বিজেপি ছেড়ে বিরোধীদের নিয়ে সরকার নীতীশের
১০ আগস্ট ২০২২বিহারে রাতারাতি নাটকীয় পরিবর্তন। বিজেপি-র সঙ্গ ছেড়ে দিয়ে আবার আরজেডি, কংগ্রেস, বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করছেন নীতীশ কুমার। বুধবার বেলা দুটোর সময় তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপধ নিচ্ছেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তেজস্বী যাদব।
নীতীশের মন্ত্রিসভায় কংগ্রেস-সহ অন্য দলের মন্ত্রীরাও থাকবেন। তবে তারা পরে শপথ নেবেন।
মঙ্গলবার দুইবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন নীতীশ। প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে। তিনি রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন, বিজেপি-র সঙ্গে তিনি আর থাকবেন না। তার ঘণ্টাদুয়েক পরে আবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নীতীশ আবার সরকার গঠনের দাবি জানান। তিনি জানিয়েছেন, জেডি ইউ, আরজেডি, কংগ্রেস, বাম-সহ সাতটি দল ও একজন নির্দলের সমর্থন তার সঙ্গে আছে। বস্তুত, বিহার বিধানসভায় দুই তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন দাবি করেছেন নীতীশ।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, তিনি তার দলের বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার দলের নেতারা জানিয়েছেন, বিজেপি বিহারেও মহারাষ্ট্রের মতো অপারেশন চালাতে চাইছিল। মহারাষ্ট্রে তারা যেভাবে শিবসেনা ভেঙে সরকার গঠন করেছে, বিহারেও একই পরিকল্পনা ছিল তাদের।
গত কয়েক মাস ধরেই বিজেপি ও নীতীশের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল। নীতীশ রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি-কে সমর্থন করলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জেডি ইউ-র প্রতিনিধি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ সামনে আসছিল। আগে বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদীর সঙ্গে নীতীশের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এবার আর তাকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করেনি বিজেপি। তাকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়েছে।
কিন্তু নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠদের দাবি, একদা মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নেতা সি পি সিংকে দিয়ে বিহারে নীতীশকে ফেলে দিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা শুরু করেছিল বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা?
বিজেপি-র অভিযোগ, আসলে নীতীশ ২০২৪-এ বিরোধীদের নেতৃত্ব দিতে চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান। তাই তিনি জনাদেশের তোয়াক্কা না করে, এভাবে বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলালেন। যে তেজস্বীকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে তিনি আরজেডির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছিলেন, তার দলের সঙ্গেই গেলেন।
তেজস্বীকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, নীতীশ কি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন? তেজস্বী জানিয়েছেন, জেডি ইউ এই জবাব দিতে পারবে। তবে নীতীশ কুমার দক্ষ নেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি ও মুখ্যমন্ত্রী পদে আছেন। তার যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই)