1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৭ মার্চ ২০১৪

নির্বাচনি নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে দিল্লি ও লক্ষ্ণৌ শহরে বিজেপি ও এএপি সমর্থকদের মধ্যে বাঁধে সংঘর্ষ৷ ওদিকে ভোট ময়দানের হাওয়া যেন ক্রমশই তেতে উঠছে ভারতে৷

https://p.dw.com/p/1BLIU
ছবি: picture-alliance/dpa

২০১৪ সালের ষোড়শ সংসদীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ভোটযুদ্ধ রীতিমত জমে উঠেছে ভারতে৷ শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক সমীকরণে ফাইনাল-টাচ দিতে তৎপরতা৷ লালু যাদবের আরজেডি দলের সঙ্গে কংগ্রেসের গাটছড়া বাঁধা পাকা৷ অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজনের পর তেলেঙ্গানা আন্দোলনের অগ্রণী দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যেতে রাজি হয়েছে৷ তবে সামগ্রিকভাবে বর্তমানের কংগ্রেস জোট সরকার এখন ছত্রভঙ্গ নানা কারণে৷

সংসদীয় নির্বাচনের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িষা ও সিকিমে হবে বিধানসভা ভোট৷ তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠিত হলেও এখন সেখানে ভোট হবে না৷ এর জন্য নতুন সংসদের অনুমোদন দরকার৷ ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটের ফলাফলে কিছু নতুনত্ব দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁরা মনে করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে যুক্ত হয়েছে ১০ কোটি নতুন ভোটার, যার একটা বড় অংশ নবীন প্রজন্মের, যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ২০৷ মোট ভোটারদের প্রায় তিন কোটি৷ এঁদের কাছে জাতপাত ও ধর্ম বড় মাপকাঠি নয়৷ দলের চেয়ে ব্যক্তি হিসেবেই প্রার্থীকে ভোট দিতে আগ্রহী তাঁরা৷ প্রাচীনপন্থিদের তুলনায় এঁরা শিক্ষা-দীক্ষা এবং মানসিকতায় আলাদা৷ ভোটব্যাংক রাজনীতির সংজ্ঞাও এঁদের কাছে ভিন্ন৷ প্রাচীনপন্থি ভোটাররাও অবশ্য আছেন, তবে খণ্ডিত৷

চারদিনের গুজরাট সফরে গিয়ে আম আদমি পার্টি বা আপ-এর সর্বাধিনায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর বিকাশের দাবি যে কতটা অসার, সেটা তুলে ধরে পথসভা করতে গেলে পুলিশ তাঁকে আটক করে৷ বস্তুত নির্বাচনি আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনি আটক হলেও, ঘণ্টা খানেক পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়৷ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার এবং তাঁর গাড়ির ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই প্রথমে দিল্লি এবং তার জেরে লক্ষ্ণৌ শহরে বিজেপি সদর দপ্তর এলাকায় চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় আম আদমির সমর্থকেরা৷ ইট-পাটকেল, ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নেয়৷ পুলিশ আটক করে আপ-এর প্রায় ১৪ জন সমর্থককে৷

Anhänger der BJP feiern Wahlergebnis
সংসদীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ভোটযুদ্ধ রীতিমত জমে উঠেছে ভারতেছবি: Getty Images/Afp/Narinder Nanu

প্রথামত উভয়পক্ষের মধ্যে চলে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ৷ আপ-এর অভিযোগ, মোদীর বিকাশের মিথ্যা দাবি ফাঁস হয়ে যাবে এই ভয়ে কেজরিওয়ালকে আটক করা হয়৷ মোদীর বিকাশের মহিমা শুধু বড় বড় শিল্পপতিদের কাছে সত্য হতে পারে, সাধারণ মানুষের কাছে নয়৷ কেজরিওয়াল স্বয়ং অভিযোগ করেন যে, গুজরাটের সমুদ্র উপকূলবর্তী জমি খালি করতে বলেছেন মোদী সরকার৷ জমির মালিকরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে হাইকোর্ট মোদীর আদেশ খারিজ করে দেয়৷ মোদী সরকার আপিল করেন সুপ্রিম কোর্টে৷ প্রশ্ন হলো, মোদী সরকার সাধারণ মানুষের জমি জোর করে কেড়ে নিতে চান কেন? কার স্বার্থে? প্রশ্ন কেজরিওয়ালের৷

স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনা বাম জমানায় পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ যার জেরে বামফ্রন্টের পতন আর তৃণমুলের উত্থান৷ বিজেপির তরফে বলা হয়, এক দায়িত্বশীল জাতীয় দল হিসেবে বিজেপি নৈরাজ্য ও হিংসায় বিশ্বাস করে না৷ পরে অবশ্য দুই তরফের নেতারাই দুঃখ প্রকাশ করে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য