1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিক্ষোভের চাপে লেবাননে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা

১১ আগস্ট ২০২০

বৈরুতের বিস্ফোরণের পরে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ। তারই মধ্যে ইস্তফা দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

https://p.dw.com/p/3glYk
ছবি: Reuters/M. Azakir

একদিকে আগুন জ্বলছে রাস্তায়। অন্য দিকে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে ইস্তফা দিচ্ছেন মন্ত্রীরা। সোমবার লেবাননের প্রেসিডেন্টের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবও।

বৈরুতে বিস্ফোরণের পর থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, সরকারের গাফিলতিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। অর্থনীতি থেকে সামাজিক নিরাপত্তা-- সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার। গত মঙ্গলবার বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তার পর থেকেই রাজপথে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন সাধারণ মানুষ। রোববার এবং সোমবার তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পার্লামেন্টের সামনের রাস্তায়। সোমবারও একই ভাবে বিক্ষোভ চলতে থাকে।

পরিস্থিতি যে শাসকের অনুকূলে নয়, তা আগেই বুঝতে পারছিলেন মন্ত্রীরা। দুই একজন রাষ্ট্রদূত এবং মন্ত্রী আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে সোমবার বড় জয় পেলেন বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ইস্তফা দিলেন। ইস্তফা দেওয়ার আগে হাসান দিয়াব জানিয়েছেন, দেশের স্বার্থে এ কাজ করছেন তিনি। সরকারে সংস্কার যে প্রয়োজন সে কথা মেনে নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ''দুর্নীতি রাজনীতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে। সে জন্যই সাত বছর ধরে অ্যামোনিয়ান নাইট্রেট ও ভাবে গুদামে থেকে গিয়েছিল।'' নিজের অপারগতা স্বীকার করে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়ার অর্থ পুরো মন্ত্রিসভার ইস্তফা কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার আগে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পুরো মন্ত্রিসভার হয়েই ইস্তফাপত্র দিচ্ছেন। পরে অবশ্য তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তবে সরকারের প্রায় সব মন্ত্রীই আলাদা আলাদা করে ইস্তফা দিয়ে দেবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ দিকে লেবাননের এই পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত গোটা ইউরোপ। বৈরুতে বিস্ফোরণের পরে প্রথম সেখানে গিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। সোমবার তিনি বলেছেন, দ্রুত রাজনৈতিক সংস্কার করে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। ফ্রান্স লেবাননকে সবরকম সাহায্য করবে। জার্মানিও লেবাননকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। বুধবার জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর লেবাননে যাওয়ার কথা।

হেজবোল্লাহর সমর্থনে লেবাননে সরকার তৈরি করেছিলেন হাসান দিয়াব। গত বেশ কিছু দিন ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চলছিল তাদের। ইসরায়েল-সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে রীতিমতো উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তারই মধ্যে এই ঘটনা ওই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকে এক নতুন সংকটে ফেলেছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)