1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির বক্তব্যে অসন্তুষ্ট জার্মান রাষ্ট্রদূত

২১ এপ্রিল ২০২২

জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টারকে কে নিয়ে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ে বিএনপি যে বক্তব্য দিয়েছে, তাতে বক্তব্যের সঠিক অর্থ ঠিকমতো উঠে না আসার কথা তুলে ধরে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন এই কূটনীতিক।

https://p.dw.com/p/4ABBi
Bangladesch | Achim Troster
ছবি: bdnews24.com

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত 'ডিক্যাব টকে' তিনি বলেন, ‘‘এটাতে আমি কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়েছি। আমার কর্তৃত্বের মধ্যে যা আছে, সে সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলি আমি। এই উদ্ধৃতি নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট৷’’

কোন বক্তব্য নিয়ে অসন্তুষ্ট- সে প্রশ্নে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, "আমি যে উদ্ধৃতি পড়েছি, তা বাস্তবতার সাথে মেলে না। যেখানে বলা হয়েছে, ‘‘আমি দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি'। এমন শব্দচয়ন সত্য নয়।’’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গত ১৭ মার্চ বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত ট্র্যোস্টার।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, তাদের আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, "বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্বন্ধে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে এটা তো আপনারা জানেন।

"এসব ব্যাপারে ওনারা কনসার্ন। বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে, ওনারা তো তার একটা অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, আমেরিকা বলছে, ব্রিটেন বলেছে, সবাই বলছে।”

সেই বৈঠকের এক মাস পর জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, "রাষ্ট্রদূত হিসাবে নতুন এলে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়, ওই দিন তেমন একটি বৈঠক ছিল। ১৬ মার্চ আমীর খসরু মাহমুদের সঙ্গে ওই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপির অনুরোধে একদিন পেছানো হয়। শুধু চৌধুরীর সাথে বৈঠক করার শিডিউল ছিল। তবে, আমাদের স্বাগত জানান চৌধুরী ও মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর)।”

ওই বৈঠকে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ‘বিস্তৃত ও ফলপ্রসূ' আলোচনা হওয়ার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, "এই দেশে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অবশ্যই মানবাধিকার ইস্যুও তার মধ্যে এসেছে।"

"আমরা সরকারের সাথেও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে আছি। কারণ, বৈশ্বিক মানবাধিকারের বিষয়টি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির দর্শনের মধ্যেই আছে।”

আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয় আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ট্র্যোস্টার বলেন, "আমরা নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা ব্যাখ্যা করেছেন, কেন তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছে, কেন অতীতে নির্বাচনে অংশ নেননি এবং কেন তাদের মনোভাবের পরিবর্তন করেনি। এখন পর্যন্ত (পরবর্তী) নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনীহার বিষয়ও ব্যাখ্যা করেছেন তারা।"

এ এস/কেএম(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)