বাড়ি ফিরেছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ছেলেশিশু
২২ এপ্রিল ২০১৯শনিবার নাগানো চিলড্রেন'স হসপিটাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে জাপান টাইমস৷
গত অক্টোবর মাসের ১ তারিখে ওই হাসপাতালেই জন্মগ্রহণ করে শিশু রিইউসকে৷ মায়ের গর্ভে মাত্র ২৪ সপ্তাহ ও ৫ দিন থাকার পর জরুরি সিজারিয়ানে তার জন্ম হয়৷ হাইপার-টেনশনে ভুগছিলেন তার মা তোসিকো সেকিনো৷
জন্মের পর রিইউসকে-এর উচ্চতা ছিল মাত্র ২২ সেন্টিমিটার (৮.৮৮ ইঞ্চি)৷ এরপর থেকে তাকে নবজাতকদের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল৷
প্রথম দিকে তাকে টিউব দিয়ে এবং তুলায় মায়ের দুধ নিয়ে চিপে খাওয়ানো হয়৷ প্রায় সাত মাসের মাথায় এখন সে নিজেই মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছে৷ ১৩ গুণ বেড়ে এখন প্রায় তিন কেজির মতো দাঁড়িয়েছে রিইউসকে-এর ওজন৷
শিশুটির মা তোসিকো সেকিনো সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যখন সে জন্ম নেয়, তখন মনে হয়েছিল একটু ছোয়া লাগলেই সে ভেঙে যাবে৷ আমি তখন বেশ দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম৷ এখন সে দুধপান করছে৷ আমরা তাকে স্নানও করাতে পারি৷ আমি এই ভেবে খুশি, তাকে বড় হতে দেখতে পারব৷''
রিইউসকে-এর আগে সবচেয়ে কম ওজনের ছেলেশিশুর রেকর্ডধারীর ওজন ছিল ২৬৮ গ্রাম৷ গত বছর জাপানেই জন্ম নেওয়া ওই শিশু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় গত ফেব্রুয়ারিতে৷
রিইউসকের চিকিৎসক তাকেহিমো হিরোমা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রথম দিকে তার চিকিৎসা করাই ছিল মুশকিলের৷ কারণ, তার রক্তনালী এতই সরু ছিল যে, সেখানে ইনজেকশন বা স্যালাইন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না৷''
বেঁচে থাকা সবচেয়ে কম ওজনের শিশুটি একটি মেয়েশিশু৷ মাত্র ২৫২ গ্রাম ওজন নিয়ে ২০১৫ সালে জার্মানিতে সে জন্মগ্রহণ করেছিল বলে ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া'র তথ্য৷
এদিকে, কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া ছেলেশিশুদের তুলনায় মেয়েশিশুদের বেঁচে থাকার হার বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা৷
এমবি/এসিবি (এএফপি, এপি, জাপান টাইমস)