বাসে জাতীয়তা প্রদর্শন করায় চালককে বরখাস্ত
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯‘‘এই বাসের চালক একজন জার্মান,'' বাসের দরজায় চালক এমন লেখা প্রদর্শন করায় বিপাকে পড়েছে সেখানকার পরিবহন কর্তৃপক্ষ ডেফাওবে DVB৷ এক যাত্রী লেখাটির ছবি তুলে সেটি স্থানীয় গণমাধ্যম টাগ২৪ কে দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি এটি দেখে বিস্মিত হয়েছি৷''
পেটার ডর্ফেল নামের ২৩ বছর বয়সী এই যাত্রী জানান, ‘‘বিষয়টি ক্রমশ স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে৷'' এই ছবি দ্রুত টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে৷ যার প্রেক্ষিতে ড্রেসডেনের পরিবহন কর্তৃপক্ষও প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে৷ তারা পাল্টা টুইটে লিখেছে, ‘‘খবরটি আমাদের কাছে পৌঁছেছে৷ আমাদের এই সহকর্মীর সমস্যায় আমরা বিষ্মিত৷ তিনি আর সড়কে (চালক) নেই এবং এই ধরনের আচরণের ব্যবস্থা আমরা নিব৷''
ডেফাওবে এর মুখপাত্র ফাল্ক লুস স্থানীয় একটি সম্প্রচার মাধ্যমকে জানিয়েছেন ঐ চালককে তারা তৃতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ করেছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের আচরণ আমাদের কাছেও মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়৷ এই চালক আর ডেফাওবে এর বাস চালাতে পারবেন না৷''
চালক যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তার প্রধান মাত্তিহিয়াস পেসকে Matthias Peschke টাগ টোয়েন্টি ফোরকে বলেন, এই ধরনের ছবি দেখে তারাও অবাক হয়েছেন৷ তাকে এরই মধ্যে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
ডেফাওবে জানিয়েছে প্রতিদিন তাদের ৫৭০ জন চালক প্রয়োজন৷ কিন্তু সঙ্কট থাকায় তারা সম্প্রতি বিদেশী কর্মী নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে৷ এরইমধ্যে সার্বিয়া থেকে ১৯ জন চালক আনার প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি৷ তাদেরকে এজন্য জার্মান শেখানোর পাশাপাশি দেশটির আমলাতান্ত্রিক অনেক জটিলতাও সম্পন্ন করতে হচ্ছে৷
বর্তমানে জার্মানিতে যেসব খাতে দক্ষ কর্মী প্রয়োজন তার মধ্যে পরিবহন অন্যতম৷ গত সোমবার জার্মান সরকার ইউরোপের বাইরের কর্মীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করাসহ ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য নতুন একটি পরিকল্পনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এমন প্রেক্ষাপটে ড্রেসডেনের ঘটনাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে৷ উগ্র ডানপন্থী মনোভাব এবং সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্প্রতি সেখানে ‘নাৎসি জরুরি অবস্থা' ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ৷
বেন নাইট/এফএস