বার্লিনের স্টেট লাইব্রেরি যে কারণে অনন্য
হাজার বছরের পুরনো সাহিত্যকর্মের সংগ্রহ থাকায় বার্লিনের স্টেট লাইব্রেরিকে বলা হয় গুপ্তধনাগার৷ প্রায় ২৫ মিলিয়নের এ সংগ্রহশালা বইপ্রেমীদের নিয়ে যায় ইতিহাসের স্বর্ণালী যুগে৷
যেতে হবে স্বশরীরে
ঐতিহাসিক এ গ্রন্থাগ্রারের একটি বিশেষ দিক হলো এর কোনো ডিজিটাল সংগ্রহ নেই৷ কোনো বিষয়ে পড়তে চাইলে আপনাকে সেখানে যেতে হবে স্বশরীরে৷
শত বছরের পুরনো পড়ার কক্ষ
প্রায় একশ বছর আগে যখন এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন আংটির মতো করে পড়ার টেবিলগুলো সাজানো ছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে বোমার আঘাতে প্রায় ধ্বংস হয়ে যায় এটি৷
১০ টা বেজে ২৫ মিনিট
লাইব্রেরির পড়ার ঘরের ঘড়িটি প্রতিদিন রাত ১০ টা ২৫ মিনিটে বেজে উঠে৷ যুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালে আবারো বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রন্থাগারটি৷ সে সময় ঘড়িতে বাজছিল রাত ১০ টা ২৫ মিনিট৷ বোমার আঘাতে ভবনের ক্ষতি হলেও সময়ের সাক্ষী হিসেবে বেঁচে যায় ঘড়িটি৷
শিশু সাহিত্যের ভাণ্ডার
লাইব্রেরিটিতে শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে দুই লাখ বই৷ আর তাই বড়দের সাথে জ্ঞান আহরণের সুযোগ রয়েছে তাদেরও৷
বেটোফেনই সেরা
লাইব্রেরির সংগ্রহশালার মধ্যে পশ্চিমের ধ্রুপদী সংগীতের জগতে বিখ্যাত লুডভিগ ফন বেটোফেন নবম শতকের কালজয়ী সব সিম্ফনিই সেরা বলে মনে করেন অনেকে৷
বিশাল ব্যায়ে সংস্কার
২০০৪ সালে লাইব্রেরির পুনঃসংস্কার কাজে হাত দেয় সরকার৷ পুনর্গঠনের কাজে সময় লাগে ১৫ বছর আর খরচ হয় পাঁচশ’ ২৭ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়৷