বার্লিনের শীর্ষ ১০টি ‘রুফটপ বার’
ঋতু পরিবর্তন কারণেই বার্লিনের ছাদের ওপরে অবস্থিত বারগুলোয় যাওয়ার মোক্ষম সময় এখন৷ কারণ এখন, শীতের আগের শেষ কয়েকটি মনোরম সন্ধ্যা আর সূর্যাস্ত উপভোগ করার সময়৷ বার্লিনের সর্বকালের সেরা রুফটপ বারগুলি থেকে চলুন ঘুরে আসি৷
আমানো ছাদ বার
গ্রীষ্মকালের দেরির সূর্যাস্ত দেখতে অধীর আগ্রহে যাঁরা অপেক্ষা করেন, তাঁদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ বার্লিনের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত মদ্যপানের এই জায়গাটি৷ বেশ সাদাসিধে, কিন্তু আধুনিক সজ্জা আর সুস্বাদু ককটেলের জন্য এই বার বেশ জনপ্রিয়৷ বার্লিনের পূর্ব দিকটাতে ভালোমতো নজর রাখার পাশাপাশি আইকন টেলিভিশনের টাওয়ার দেখার জন্য এই ছাদ বারটি আদর্শ৷
জো ছাদ বার
শহরের কেন্দ্রে হাকিশে মার্কেটের কাছাকাছি ছোট এক বুটিক হোটেল এটি৷ এই সময়ের ডিজাইনের এক বাড়ির ছাদে মূলত এই বার অবস্থিত৷ আধুনিক সমসাময়িক পরিবেশ, ডজনখানেরকের বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ জিনের সংগ্রহের কারণে গ্রীষ্মকালে এই বার বেশ জনপ্রিয়৷
রুফটপ টেরাস
‘নজরকাড়া আবার একইসাথে ঐতিহাসিক’ – হোটেল ডি রোমের ছাদকে এর চেয়ে ভালো করে বোধহয় আর বর্ণনা করা যায় না৷ বার্লিন স্টেট অপেরা, সেন্ট হেডউইগ ক্যাথিড্রাল ও বেবেলপ্ল্যাৎসের অসাধারণ দৃশ্য – সাথে লাইভ সংগীত আর প্লেটে মজাদার বার্বিকিউ – সব মিলিয়ে বিলাসবহুল এক অভিজ্ঞতা৷ বার্লিন ক্যাথিড্রাল এবং টেলিভিশন টাওয়ারও এখানে থেকে দেখা যায়৷
বানর বার
জানলার ওপারেই চিড়িয়াখানা৷ আর সেদিকে তাকালেই দেখা যায় বানরের খাঁচাটি৷ তাই তো এই সুরাখানার নামকরণ করা হয়েছে ‘বানর বার’৷ এখানকার লাউঞ্জটি এক ধরনের ক্লাসিক ককটেলের অভিজ্ঞতা দেবে৷ হোটেল বিকিনি বার্লিনের দশম তলায় অবস্থিত এই বার থেকে শহরের পশ্চিমাংশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নজর কাড়ে৷ সেইসাথে পাশের নেনি রেস্তোরাঁর খাবারও বেশ জমিয়ে তোলে৷ তবে দর্শনার্থীদের জন্য কাঁচে ঘেরা বিশ্রামাগার – এখানকার অন্যতম আকর্ষণ৷
ওয়ান লাউঞ্জ
বার্লিনের জন্যপ্রিয় চত্বর কু-ডাম বা কুয়রফ্যুয়র্স্টেনডামে অবস্থিত হোটেল মোটেল ওয়ানের দশ তলায় এই বারটি৷ সব ধরনের আবহাওয়াতেই দারণ চলে এটি৷ ডিজাইনার হলেও আরামদায়ক, আলো দিয়ে সাজানো সুন্দর এক পরিবেশ৷ তার ওপর বিখ্যাত নানা ধরনের সিনেমার থিম নিয়ে চারিদিকে বড় বড় পোস্টার৷ শহরের হাইলাইটগুলোর মধ্যে কাইসার ভিলহেল্ম মেমোরিয়াল চার্চ, টিয়ারগার্টেন এবং বার্লিনের বিখ্যাত চিড়িয়াখানাটি এখান থেকে ভালো দেখা যায়৷
ডেক 5
পাম গাছ, সাদা ছাতা আর প্রচুর বালি দিয়ে সাজানো ‘ডেক ফাইভ’ নামের এই রেস্তোরাঁ৷ শহরের মধ্যে কেউ তড়িঘড়ি করে ছুটির পরিকল্পনা করলে এ জায়গাটা ঘুরে আসার জন্য দারুণ৷ প্রেন্সলাওয়ার ব্যার্গের অন্যতম শপিং সেন্টার শ্যোনহয়জার আলে আর্কাডেনে পার্কিং ডেকের সাত তালায় এই রেস্টুরেন্ট৷ এই সৈকত বারে এক ধরনের অবসরকালীন পরিবেশ, দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য আর ফলমূলের ককটেলের দেখা মেলে৷
ক্লুনকারক্রানিশ
এই ছাদে বার্লিনের সত্যিকারের অভিজ্ঞতা পাওযা যায়৷ স্থানীয় এবং পর্যটক – উভয়েই নিয়মিত খোঁজেন এই জায়গাটি৷ নয়ক্যোলন আর্কাডেন শপিং সেন্টারের ছাদে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্ট৷ এখান থেকে শহরের ছাদগুলির প্যানোরামিক দৃশ্য দেখা যায়, যা এক বোহেমিয়ান আবহ তৈরি করে৷
ছুটির দিনের বাড়ি
এটি মূলত পার্টির জায়গা৷ ছুটির দিনের বাড়ি আন্তর্জাতিক ডিজেদের আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসে৷ এখান থেকে অতিথিরা আলেকজান্ডারপ্লাৎস ও খুব কাছ থেকে টেলিভিশন টাওয়ার দেখতে পান৷ গ্রীষ্মকালে কাজ শেষে কিছু পান করতে মন চাইলে বা মজার কিছু করার জন্য যাঁরা পার্টি পছন্দ করেন, তাঁরা এই জায়গাটিকে বেছে নেন৷
প্যানোরমা ৩৭
এই সুরাখানা বার্লিনের ‘পিকচার পোস্টকার্ড’-এর মতো সুন্দর৷ এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ আছে শুধুমাত্র আলেকজান্ডারপ্লাৎসের হোটেল পার্ক ইনের টেরাস থেকে৷ মাটি থেকে ১৫০ মিটার ওপরের এ দৃশ্য দেখতে সাধারণত ৪ ইউরো ফি দিতে হয়৷ এটুকু মূল্য দিতে পারলেই এখান থেকে শহরের প্যানোরমিক দৃশ্যসহ লাউঞ্জে বসে পানীয় পান করতে পারবেন আপনি৷
ক্লাব সোহো হাউজ
যে কোনো ব্যক্তি চাইলেই এখানকার বাড়তি আকর্ষণগুলো পাবেন না৷ শিল্প, ফ্যাশন, সংগীত এবং বিশ্ব মিডিয়া – সব ক্ষেত্রে কেবল ক্লাবের সদস্যরাই এখানে আসার সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন৷ সাধারণত ফিল্ম ক্রু’রা এর বিলাসবহুল চিলেকোঠা ভাড়া করে৷ আর ছাদের বারে, ম্যান্ডোলিন বিস্ত্রো সূর্যাস্তের সময় ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার খাবার পরিবেশন করে৷