1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনের পরিবর্তনের ছবি তোলেন স্টেফান

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে৷ একসময়ের খোলা জায়গায় নতুন ভবন গড়ে উঠছে৷ পুরনো ভবন ভেঙেও নতুন ভবন তৈরি করা হচ্ছে৷ গত ১২ বছর ধরে বার্লিনের এসব পরিবর্তনের ছবি তুলছেন আলেকজাণ্ডার স্টেফান৷

https://p.dw.com/p/46VnZ
ছবি: Christian Behring/POP-EYE/picture alliance

তিনি মনে করেন, তার ছবির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে বার্লিনের অতীত সম্পর্কে জানানো সম্ভব৷ আলেকজাণ্ডার স্টেফান তিনি পুরনো দোকান, খাবার স্টল, পরিত্যক্ত ভবন, শিল্প কারখানা, খোলা জায়গা ইত্যাদির ছবি তোলেন৷

এর মাধ্যমে স্টেফান ঐ বিষয়গুলো হারিয়ে যাওয়ার আগে স্যুভেনির হিসেবে সেগুলোর স্মৃতি ধরে রাখেন৷ স্টেফান বলেন, ‘‘বার্লিনের এই জায়গাগুলো আমাকে জাদুর মতো কাছে টানে৷ আমি সেই ডাক উপেক্ষা করতে পারি না৷ তারা আমার সঙ্গে কথা বলে৷ ছবি তোলার মাধ্যমে আমি আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলি৷ এছাড়া এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে এই জায়গাগুলো সম্পর্কে জানানো সম্ভব৷''

বার্লিনের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশনের পাশে শহরের অন্যতম বড় নির্মাণকাজ চলছে৷ প্রকল্পের নাম ‘ইউরোপাসিটি'৷ তিন হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ও প্রায় ১৬ হাজার জন কাজ করতে পারবে এমন অফিস স্পেস তৈরি করা হচ্ছে সেখানে৷ স্টেফান বলেন, ‘‘প্রথমে কংক্রিট আর কাচের এত বিশাল সমারোহ দেখে আমি চমকে গেছি৷ এখন যেখানে আমি দাঁড়িয়ে আছি সেটা বিশ্বের যে-কোনো জায়গা হতে পারে৷ এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করে৷ এই জায়গাটি ১০ বছর আগে যেমন ছিল এখনও যদি তার কিছু একটা অংশ টিকিয়ে রাখা যেত তাহলে আমি খুশি হতাম৷''

পরিবর্তনকে ক্যামেরাবন্দি করেন যিনি

৫৪ বছর বয়সি আলেকজাণ্ডার স্টেফান বার্লিনে জন্মেছেন৷ তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন৷ ছবি তোলা তার সবসময়ের শখ৷ ২০০৯ সাল থেকে বার্লিনের পরিবর্তনের ছবি তুলছেন স্টেফান৷

ক্রয়েৎসব্যার্গ এলাকায় স্প্রে নদীর তীরে অনেক নতুন ভবন গড়ে উঠেছে৷ বিষয়টি তাকে স্মৃতিকাতর করে তোলে৷ তিনি বলেন, ‘‘ঐ জায়গাটা আগে পতিত ছিল৷ বিশ্বখ্যাত গ্রাফিতি আর্টিস্ট ব্লু-এর কাজ ছিল সেখানে৷ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি সেখানকার ছবি তুলছি৷ ওটা ক্রয়েৎসব্যার্গ এলাকার সবচেয়ে কাঙ্খিত জায়গা ছিল৷ সেখানকার একমাত্র খোলা জায়গা ছিল সেটি, যেখানে বার্বিকিউ করা যেত৷ এরপর সেখানে বার্লিনের প্রথম ফাভেলা গড়ে ওঠে৷ শরণার্থীদের থাকার জায়গা হয়ে ওঠে সেটি৷''

বার্লিনে যে হারে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে তাতে স্টেফানকে খুব দ্রুত সব এলাকার ছবি তুলে ফেলতে হবে৷ স্টেফান জানান, ‘‘বার্লিন নিয়ে আমার ইচ্ছা হলো, অনেক মানুষ একসঙ্গে হয়ে বার্লিনের উন্নয়নের জন্য কিছু করুক৷ আমি চাই না, বার্লিন বিশ্বের অন্যান্য বড় শহর যেমন লন্ডন, প্যারিস কিংবা নিউইয়র্ক উন্নয়নের যে পথ বেছে নিয়েছে সেটা চোখ বন্ধ করে অনুসরণ করুক৷ কারণ এর ফলে শহরের নিজস্ব সত্ত্বা হারিয়ে যায় বলে আমি মনে করি৷''

নিজের ছবির মধ্যে বার্লিনের সত্ত্বা তুলে ধরার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন আলেকজাণ্ডার স্টেফান৷

ক্রিস্টিন শুমান/জেডএইচ