1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনকে ডিজিটাল ও টেকসই করে তুলছে সিটিল্যাব

৯ মার্চ ২০২১

করোনা সংকটের অন্যতম শিক্ষা হলো ডিজিটাল, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা৷ বার্লিনে এক উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা সেই দিশায় বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরছেন৷

https://p.dw.com/p/3qNhN
বার্লিন
ছবি: imago images/Panthermedia

বার্লিনের সিটিল্যাবের গ্রীষ্মকালীন পাঠক্রমে অংশ নিয়ে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী তাদের কোডিং ও প্রোগ্রামিংয়ের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে শহরগুলির ইকোলজি আরও টেকসই করে তুলছেন৷ বিশেষ অ্যাপ ও ডিভাইস তৈরির কাজে তারা অবদান রাখছেন৷ সারা রাইশার্ট তাদেরই একজন৷ নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের চারিপাশের জগত প্রযুক্তিসর্বস্ব৷ অদৃশ্য ও অপরিহার্য এমন সব মাইক্রোকন্ট্রোলারের সাহায্যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছু পরিচালিত হয়৷ এখানে আমরা সেগুলির সাহায্যে নতুন কিছু করতে চাই৷’’

নয় দিন ধরে সামার স্কুলের বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নানা ধরনের আইডিয়া ও উদ্ভাবন তুলে ধরেন৷ ক্লাসঘরের বাইরে মনোরম পরিবেশ এ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়৷ সিটিল্যাব নামের উদ্যোগের আওতায় বার্লিনের মানুষ টেকসই পৌর উন্নয়নের ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান৷ অংশগ্রহণকারী হিসেবে মার্কুস জ্লজভ বলেন, ‘‘সামার স্কুলের এই কাঠামো আমার ভালো লাগে৷ বাইরে, খোলা আকাশের নীচে আমরা মিলিত হই এবং বেশ ইন্টারেস্টিং প্রযুক্তি ও বিষয় নিয়ে কাজ করি৷ আমাদের কিছু অনলাইন লেকচার হয়েছে বটে, কিন্তু এখন আমরা ছোট ছোট দলে নির্দিষ্ট প্রকল্পে কাজ করছি৷ করোনা সংকট শুরু হবার পর দূরে বসেই সবকিছু করতে হয়েছে বলে আমি সেই পরিবেশের অভাব বোধ করছি৷ অবশেষে আবার আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারছি৷ বিষয়গুলিও ইন্টারেস্টিং৷’’

টেকসই শহর গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ

বার্লিনের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ জন ছাত্রছাত্রী চলতি বছরের সামার স্কুলে অংশ নিয়েছিলেন৷ প্রোফেসর কারোলিন শ্র্যোডারের অনলাইন লেকচারের বিষয় ছিল ডিজিটালাইজেশন ও টেকসই প্রক্রিয়া৷ তাঁর মতে, শহরের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের আরও বেশি শামিল করা উচিত৷ প্রো. শ্র্যোডার বলেন, ‘‘সমাজের বিভিন্ন অংশের কাছে কীভাবে তথ্য পৌঁছে দেওয়া যায়? বিশেষ করে যাদের ইন্টারনেট সম্পর্কে বেশি অভিজ্ঞতা নেই, যারা কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারে না৷ তারা কীভাবে তথ্যের নাগাল পেয়ে সেটি কাজে লাগিয়ে বাকিদের সঙ্গে সহযোগিতায় নতুন কিছু তৈরি করতে পারে?’’

ওয়ার্কশপের বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী বিজনেস ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন৷ ফলে তারা প্রযুক্তি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷ তাঁরা আইডিয়ার আদানপ্রদান এবং উদ্ভাবনশীল, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে কাজের সুযোগ উপভোগ করেন৷ সিটিল্যাবের অংশগ্রহণকারী হিসেবে লিনা হেনসেল বলেন, ‘‘মোবাইল ফোন চার্জ করতে বা ডেভেলপমেন্ট বোর্ড চালাতে আমি এক সোলার প্যানেল ও লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করেছি৷ যেখানে বিদ্যুৎ গ্রিডের সংযোগ নেই, সেখানেও এটির সাহায্যে কাজ করা যায়৷ সেটা সম্ভব করতে আমি একটি অ্যাপ সৃষ্টি করেছি৷’’

সামার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রকল্পগুলির মধ্যে কয়েকটি বেশ নজর কেড়েছে৷ শহরের গাছপালার জন্য জলবিদ্যুতের এক প্রণালী এবং টেকসই উদ্যোগের হদিশ দিতে শহরের ডিজিটাল মানচিত্রের বেশ কদর হচ্ছে৷ প্রো. কারোলিন শ্র্যোডার মনে করেন, ‘‘বেশ কিছু কাল ধরে জার্মানিতে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হতো না৷ এমনকি সরকারেরও এমন মনোভাব ছিল৷ এর জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন৷ অর্থাৎ গোটা দেশকে ডিজিটাল করে তুলতে অনেক সম্পদের প্রয়োজন৷ টেকসই প্রক্রিয়ার প্রচারের ক্ষেত্রেও সেটা প্রজোয্য৷ এখনো অনেক পথ চলা বাকি রয়েছে৷’’

এই ছাত্রছাত্রীরা হাতের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বার্লিন তথা সম্ভবত গোটা বিশ্বকে আরও স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই করে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে৷

ইয়ুলিয়া হাইনরিশমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য