বার্বি ডল সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য
তাকে অনেকেই ভালোবাসে, ঘৃণা করে, বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি: সে বার্বি৷ ১৯৫৯ সাল থেকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হয়েছে এর রূপ৷ বার্বি সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য থাকছে ছবিঘরে৷
প্রথম বার্বি ডল
স্বর্ণকেশী, সরু কোমর, সুদীর্ঘ পা: ১৯৫৯ সালের ৯ মার্চ ম্যাটেল এ ধরনের এক পুতুল বাজারে আনে৷ সেই থেকে বিশ্বের সব শিশুদের ঘরে প্রবেশ করা শুরু করে বার্বি৷
আনন্দের স্মৃতি
কোনো মেয়ে ঘোড়া পছন্দ করে, আবার অন্যরা বার্বি ডল নিয়ে খেলতে ভালোবাসে৷ তাদের ঘর হয়ে ওঠে বার্বি বিশ্ব৷ শোওয়ার বা বসার ঘরের তাকের পর তাক জুড়ে থাকে বার্বি, তার প্রেমিক কেন এবং তার ছোট ভাই-বোন টড এবং টুটি৷
খেলাঘর
আশির দশক থেকে অনেক মেয়েদের ঘরে বার্বি আর কেন হয়ে ওঠে স্বপ্ন চরিত্র এবং প্রেমের গল্পের আদর্শ চরিত্র৷
পেশাজীবী নারী
আশির দশকেই বার্বির চরিত্রে পরিবর্তন আনা হয়৷ তার নির্মাতা ম্যাটেল নভোচারী, কম্পিউটার প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শিক্ষক, স্থপতি নানা পেশার বার্বি নির্মাণ করে৷ পেশাজীবী এই নারী চরিত্রের মধ্যে আছে প্রেসিডেন্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্টও৷
চরিত্রে বৈচিত্র
২০০০ সালে মডেল চরিত্র থেকে সরাসরি মধ্যবিত্তদের কাতারে নামিয়ে আনা হয় বার্বিকে৷ বার্বির পোশাকে চাকচিক্য কিছুটা কমিয়ে আনা হয়৷ ২০১৬ সালে চার চরিত্রের বার্বি ডল বাজারে আনে ম্যাটেল: পেটিটে (সাধারণ মানের পোশাক পরিহিত), লম্বা, কার্ভি এবং চিরাচরিত৷
সময়ের পরিবর্তন
৬০ বছর আগে কে ভাবতে পেরেছিল হিজাব পরা বার্বি ডলও বাজারে আসতে পারে? ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে অংশ নেয়া মার্কিন অ্যাথলিট ইবিতিহাজ মুহাম্মদের আদলে তৈরি হয় এই বার্বি৷
বিশ্বজুড়ে
কেনিয়ার বার্বি কোন বড় শহরের আধুনিক চরিত্র নয়৷ বরং আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত এক নারী চরিত্র৷
নারীবাদী ভাবমূর্তি
ফ্রিদা কাহলো বার্বি (মাঝে) দারুণ একটা ভাবনা থেকে তৈরি হলেও তা শেষ হয় ব্যর্থতার মাধ্যমে৷ কপিরাইট ইস্যুতে ম্যাক্সিকান এই শিল্পীর এক আত্মীয়া ম্যাটেলের নামে মামলা করেছিলেন৷ ফলে দোকান থেকে সরিয়ে ফেলা হয় এই পুতুল৷
৬০ বছর এবং এরপর...
২০১৯ সালে হুইলচেয়ারে বসা অবস্থায় এবং প্রস্থেটিক পা লাগানো বার্বি ডলও বাজারে এসেছে৷ এই পুতুল নির্মাতারা বুঝতে পেরেছেন, স্বর্ণকেশী, নীল নয়না এবং সরু কোমরের পুতুলকে বর্তমান যুগের শিশুরা গ্রহণ করে না৷