1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাম জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা

৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা মিছিলে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ৷ একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীতে ‘কালো দিবস' পালনের অংশ হিসেবে এই মিছিল বের করেছিল তারা৷

https://p.dw.com/p/3VUWl
Zusammenstoß von Polizei und linkem Parteibündnis in Dhaka, Bangladesch
ছবি: bdnews24.com

সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট৷ সেখান থেকে নেতা-কর্মীরা বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে রওনা হন৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকম তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘‘পথে কদম ফোয়ারার সামনে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে তারা এগিয়ে যান৷ বেলা ১টার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে আবার বাধার মুখে পড়েন বাম জোটের নেতা-কর্মীরা৷ তারা সেখানকার ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়৷ এক পর্যায়ে মিছিল থেকে ইঁটপাটকেল ছুড়ে মারার অভিযোগ করে পুলিশ সদস্যরা বাম জোটের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন৷ এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন৷''

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীসহ ২৫-২৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক৷

এদিকে পুলিশ দাবি করেছে ব্যারিকেড দেয়ার পর মিছিল থেকে তাদের উপর লাঠি ও বাঁশ দিয়ে হামলা করা হয়েছে৷ ডিএমপি রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ আমাদের পাঁচ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন৷ এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন দুজন৷ আমরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি৷ পরে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি৷''

Zusammenstoß von Polizei und linkem Parteibündnis in Dhaka, Bangladesch
ছবি: bdnews24.com

পুলিশ চার-পাঁচ জনকে আটক করেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম৷ ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷

এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে ‘কালো দিবস' হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বাম জোটের পক্ষ থেকে৷ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘‘ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতায় বসে আছে, তাকে ভুয়া সরকার ছাড়া আর কিছু বলে আখ্যা দেওয়া যায় না৷ গণআন্দোলনের মুখে সরকারের পতন ঘটিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷''

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘‘বিরোধী দলকে দমন করতে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস লেলিয়ে দিয়েছে৷ গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে; নৈতিক পরাজয় হয়েছে৷ চরমপন্থি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে এ দল৷''

Zusammenstoß von Polizei und linkem Parteibündnis in Dhaka, Bangladesch
ছবি: bdnews24.com

বিক্ষোভের ডাক বিএনপির

এদিকে নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে  ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালনের ঘোষণা দিয়ে সমাবেশের ঘোষণা দিলেও তার অনুমতি দেয়া হয়নি জানিয়ে এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকার থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি৷

সোমবার সকালে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘‘আজকে বিএনপির ঢাকা মহানগরীতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে৷ কিন্তু সরকার দিনটিকে এমনভাবে ভয় পেয়েছে যে, গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচি তারা করতে দিচ্ছে না৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পূর্বঘোষিত সমাবেশ বানচাল করতে পোশাক ও সাদা পোশাকে পুলিশ সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশের সড়ক এবং অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধংদেহী পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে৷''

এফএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)