বাদুড়, গুবরে পোকা: নির্মাণকাজে দেরির কিছু উদাহরণ
জার্মানিতে বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার পরিবেশবাদীরা৷ প্রায়ই তারা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আদালতে যান৷ ছবিঘরে এমনই কিছু ঘটনার উল্লেখ থাকছে৷
প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি
গুবরে পোকার অনেক জাত রয়েছে৷ ছবিতে ‘হার্মিট বিটল’ দেখতে পাচ্ছেন৷ এরা বিপন্ন প্রাণী৷ তাই এদের রক্ষার কথা বলা হয়েছে৷ ‘স্টুটগার্ট ২১’ প্রকল্পের আওতায় শহরের প্রধান রেলস্টেশনে সংস্কার কাজ চলছে৷ এই স্টেশনের কাছে থাকা ছয়টি গাছে হার্মিট বিটল দেখা যাওয়ায় গাছগুলো কাটার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরা৷ ফলে ইইউ বলেছে, পাশের একটি পার্কে গুবরে পোকাগুলোকে সরিয়ে তারপর গাছ কাটা যাবে৷ অর্থাৎ, আরো খরচ, আরো সময়!
ঈগল আর সারসের জন্য
নয় বছর দেরি হওয়ার পর অবশেষে আগামী অক্টোবরে বার্লিন-ব্রান্ডেনবুর্গ এয়ারপোর্ট উদ্বোধন হওয়ার কথা৷ তবে প্লেন ওঠানামার রুট ঠিক করার সময় ঈগল আর সারসের চলাফেরায় সম্ভাব্য সমস্যার কথা বিবেচনা করা হয়নি বলে জার্মানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে ইউরোপীয় কমিশন৷
নির্মাণ কাজে ধীরগতি
ধেড়ে ইঁদুরের মতো প্রাণী হ্যামস্টারের জন্য জার্মানিতে প্রায়ই নির্মাণকাজে দেরি হয়৷ যেমন, আরডাব্লিউই কোম্পানি ২০০৪ সালে গ্রেফেনব্রোইশ শহরে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু সেখানে হ্যামস্টার থাকায় দুই বছর পর নির্মাণকাজ শুরু করতে হয়েছিল৷ এছাড়া হ্যামস্টারের কারণে একটি শিল্পপার্ক ও একটি প্রদর্শনী কেন্দ্রের নির্মাণকাজও বিলম্ব হয়েছে৷
বাদুড়ের জন্য
হর্সশু বাদুড়ের কারণে ড্রেসডেনের কাছে এলবে নদীর উপর একটি সেতুর নির্মাণকাজ প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল৷ কারণ, ব্রিজ হলে বাদুড়ের ওড়ার পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেতু হয়েছে৷ কিন্তু সেজন্য ঝোঁপ-ঝাড় আর গাছ দিয়ে বাদুড়কে পথ দেখানোর ব্যবস্থা করতে হয়েছে, যেন ব্রিজে থাকা গাড়ির সঙ্গে বাদুড় ধাক্কা না খায়৷
১২ বছর পর!
শভেলার হাঁস, বিরল এশীয় ফড়িং ও রেড নট পাখির কথা বিবেচনা করে প্রায় ১২ বছর এলবে নদী খননের অনুমতি দেয়া হয়নি৷ অথচ কার্গো জাহাজ চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ পথ হচ্ছে এই এলবে নদী৷
ব্যয়বহুল
দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর আইজেনাখ ও কাসেল শহরের মধ্যে একটি হাইওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়৷ সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে৷ তবে সেই সঙ্গে ‘নিউট’ নামে এক ধরনের গিরগিটিসদৃশ প্রাণী ও ‘টোড’ নামে অমসৃণ ত্বকবিশিষ্ট ব্যাঙজাতীয় প্রাণীর বসবাসের জন্য চার কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলও তৈরি করতে হয়েছে৷
বিমানবন্দর সম্প্রসারণে আপত্তি
মিউনিখ বিমানবন্দরের পরিধি বাড়াতে চায় কর্তৃপক্ষ৷ এজন্য ‘অনেক জমির প্রয়োজন’ হতে পারে বলে অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের৷ তাই তারা রাজ্য সংসদে জমা দেয়ার জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছেন৷ ইতিমধ্যে প্রায় ১২ হাজার মানুষ পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন৷