1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাতিস্তম্ভের নাম জিজা

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
১৭ জুলাই ২০১৭

ভালো করে হাঁটতেও পারেন না৷ কোনোদিনই পারেননি৷ কারণ ছোটবেলা থেকেই তিনি সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত৷ তবু এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে কত দূরে চলে গেছেন জিজা৷ কলকাতার জিজা ঘোষ৷

https://p.dw.com/p/2gfcR

ভারতে সেরিব্রাল পলসির বিরুদ্ধে যে সমবেত লড়াই, তার অন্যতম নেত্রী এখন জিজা৷ শারীরিক অসুস্থতা বা অক্ষমতা জিজাকে কোনোদিন দমাতে পারেনি৷ প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার পর জিজা শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সেরিব্রাল পলসিতে৷ মাঝে লিড্‌স ইউনিভার্সিটি থেকে ডিজেবিলিটি অ্যাডভোকেসি নিয়ে পড়াশোনা, প্রশিক্ষণ সেরে এসেছেন৷ এখন তাঁর দিন-রাতের অনেকটা সময় যায় সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্তদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী বদলের কাজে৷ যার প্রাথমিক ধাপ হলো এটা বোঝানো যে, সেরিব্রাল পলসি আদৌ কোনো রোগ না৷ এটা একটা অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা৷ যাঁরা এই অবস্থার শিকার, তাঁরা কিন্তু কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন বা উন্মাদ নন৷ বরং তাঁরা আমার-আপনার মতোই বুদ্ধিমান, চিন্তাশীল মানুষ৷ একইসঙ্গে সেরিব্রাল পলসির শিকার মানুষজনকেও ওঁরা বোঝান, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে হবে৷

জিজা আশাবাদীও৷ কারণ তিনি দেখছেন, পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, সমাজের মানসিকতা পাল্টাচ্ছে, দৃষ্টিভঙ্গী ক্রমশই বদলাচ্ছে৷ তাঁর ছোটবেলায় তিনি নিজে যে অসুবিধেগুলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন, তার অনেক কিছুই এখন আর সমস্যা তৈরি করছে না৷ এ সব নিয়ে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জিজা ঘোষ৷ নিজের মুখে বলেছেন নিজেদের লড়াইয়ের কথা৷ বোঝার সুবিধের জন্যে তাঁর বক্তব্যের সাব-টাইটেল দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু একটু মন দিয়ে শুনতে চেষ্টা করলে দেখবেন, আপনারা বুঝতে পারছেন জিজার কথা৷ কারণ, জিজা আসলে আমাদেরই মতো৷