বাতিল হতে পারে সংসদের অধিবেশন
১৭ নভেম্বর ২০২০মঙ্গলবার গোটা দেশে করোনার সংক্রমণ খানিকটা হলেও কমেছে। এক মাস আগে যা দৈনিক ৮০ হাজারের পৌঁছে গিয়েছিল, মঙ্গলবার তা তিরিশ হাজারের নীচে নেমেছে। গত চার মাসে সব চেয়ে কম সংক্রমণ হয়েছে ভারতে। কিন্তু বদলায়নি রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি। এখানে এখনো দিনে আট হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার জানিয়েছে, এই মুহূর্তে দিল্লিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই তা কেটে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে নাও বসতে পারে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। বছরের শেষ অধিবেশন সংসদে শুরু হয় নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। অধিবেশনের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে নোটিস দিয়ে সকলকে অধিবেশনের সময় জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর এখনো পর্যন্ত কোনো নোটিস জারি করা হয়নি। সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি দেখে শীতকালীন অধিবেশন বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দুই একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে বাজেট অধিবেশন খুব সাবধানে আয়োজন করা হয়েছিল। সংসদের আসন বন্টন বদলানো হয়েছিল। সাংবাদিকদের প্রবেশ কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বাতিল হয়েছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। যা নিয়ে বিরোধীরা যথেষ্ট আপত্তি জানিয়েছিলেন। সংসদে প্রবেশের ক্ষেত্রে বহু কড়াকড়ি করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। বহু সংসদের করোনা ধরা পড়েছিল। সে কথা মাথায় রেখেই শীতকালীন অধিবেশন বন্ধ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।
শীতকালীন অধিবেশন না হলে ভারতের ইতিহাসে এ বছর সব চেয়ে কম দিন সংসদ বসবে। তবে শীতকালীন অধিবেশন এর আগেও বাতিল হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময়ে ১৯৭৫ সালে। ১৯৭৯ এবং ১৯৮৪ সালেও শীতকালীন অধিবেশন বাতিল হয়েছিল।
সরকারের একটি সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, শীতকালীন অধিবেশন বাতিল হলে তা পরবর্তী বাজেট সেশনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের শেষ অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় পরবর্তী সংসদ বসতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। সেখানেই শীতকালীন অধিবেশনে যে বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল, তা উত্থাপন করা হতে পারে। তবে পুরো বিষয়টিই এখনো পরিকল্পনার স্তরে আছে। দুই একদিনের মধ্যে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, ইন্ডিয়া টুডে)