1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাঘের আবাসভূমি ঠিক রাখতে রাশিয়ায় চলছে সম্মেলন

২৩ নভেম্বর ২০১০

পৃথিবী থেকে বাঘ হারিয়ে যাচ্ছে৷ এর সঙ্গে জড়িত আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র৷ হত্যা, পাচার ইত্যাদি ছাড়াও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং বিভিন্ন রোগ বালাই’এর কারণেও মারা যাচ্ছে বাঘ৷ তাই বাঘ বাঁচাতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এখন রাশিয়ায়৷

https://p.dw.com/p/QG6G
Zoo, Baby,Tiger, বাঘ, আবাসভূমি রাশিয়া, সম্মেলন
ফাইল ছবিছবি: AP

সুন্দরবনে গত ১০ বছরে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আক্রমণে ১৯৫ জন মানুষ মারা গেছে৷ আর মানুষের হাতে মারা গেছে ২৪টি বাঘ৷ কেবল ২০০৯ সালেই ৩০ জন মানুষ ও তিনটি বাঘ মারা যায় ঠিক এভাবেই৷ পরিবেশ বিপর্যয়, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, শিকারের অভাব ও সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ের খাল-নদী ভরাট হয়ে যাওয়া, মানুষের চকচকে লোভাতুর দৃষ্টি ইত্যাদি নানা কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোপ পাচ্ছে বাঘ৷

আর তাই বাঘ বাঁচাতে গত ২১ নভেম্বর থেকে রাশিয়ায় চলছে বাঘ সম্মেলন বা টাইগার সামিট৷ আগামীকাল শেষ হবে এটি৷ বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, বার্মা, ক্যাম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম- এই ১৩টি রাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিনিধিদের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন৷

এ সম্মেলনে ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার কৌশলপত্র চূড়ান্ত করা নিয়েই আলোচনারত বিশ্ব নেতৃবৃন্দ৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছে গেছেন ঐতিহাসিক রুশ নগরী সেন্ট পিটার্সবার্গে৷

আশা করা হচ্ছে, সেখানে প্রাণী হত্যা ও বন ধ্বংসের মোকাবিলায় একটি পৃথক সংস্থা তৈরির বিষয়ে চুক্তি হবে৷ আয়োজকরা বলছেন, এই পদক্ষেপটি হবে অবৈধ শিকার প্রতিরোধে প্রথম সম্মিলিত চুক্তি৷

বাঘের বাস মূলত এশিয়াতে৷ এছাড়া আরও বেশ কিছু দেশেও রয়েছে এর অস্তিত্ব৷ এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে ভারতে বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার-এ৷ বাংলাদেশে আছে ৪৪০টি৷ চীনে গোটা পঞ্চাশ৷ রাশিয়াতে ৩ থেকে ৪শটি৷ যদি গণনাকারীদের সমীক্ষা সঠিক হয়, তাহলে বলে দেয়া যায়, বনের রাজা বাঘের সংখ্যা পুরো পৃথিবীতে সাকুল্যে ৩ হাজার ২০০ টি৷ আর এর সংখ্যা ক্রমশ কমছে৷ চলতি বছর বালি দ্বীপে বাঘ বিষয়ে প্রাক সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা ২০২২ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা ৭ হাজার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন৷ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে বলেই জানাচ্ছেন আয়োজকরা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক