বাইডেন-মাক্রোঁ ফোনে কথা, বরফ গলার ইঙ্গিত
কথা বলতে চেয়েছিলেন বাইডেনই। বুধবার মাক্রোঁর সঙ্গে তার কথা হলো। অ্যামেরিকায় আবার রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠাবে ফ্রান্স।
ফোনে কথা
বুধবার বাইডেনের সঙ্গে মাক্রোঁর ফোনে আধঘণ্টা ধরে কথা হয়। অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু-চালিত সাবমেরিন দিচ্ছে অ্যামেরিকা ও যুক্তরাজ্য। এই সাবমেরিন চুক্তি হওয়ার কথা ছিল ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার। ফলে অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার উপর ব্যাপক চটে যায় ফ্রান্স। তারপরই বাইডেন কথা বলতে চান ম্যাক্রোঁর সঙ্গে।
বাইডেনের স্বীকারোক্তি
মাক্রোঁকে বাইডেন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করার আগে তাদের ফ্রান্সের সঙ্গে কথা বলে নেয়া উচিত ছিল। পরামর্শ করা উচিত ছিল। ভবিষ্যতে তা অবশ্যই করা হবে। অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু-চালিত সাবমেরিন দেয়া নিয়েই নিরাপত্তা চুক্তি হয়েছে। বাইডেনের এই` স্বীকারোক্তির ফলে বরফ কিছুটা গলে। উপরের ছবিটি পরমাণু-চালিত সাবমেরিনের।
মাক্রোঁর সিদ্ধান্ত
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অ্যামেরিকা ও যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা চুক্তি হওয়ার পর ফ্রান্স ওয়াশিংটন থেকে রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায়। বাইডেনের স্বীকারোক্তির পর মাক্রোঁ ঠিক করেছেন, রাষ্ট্রদূতকে আবার ফেরত পাঠানো হবে। তিনি আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন যাবেন। তারপর মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন।
বাইডেনের কৌশল
বাইডেন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কিছু বলেননি, তিনি প্রক্রিয়াগত ভুলের কথা স্বীকার করেছেন। আগে পরামর্শ করে নেয়া উচিত ছিল তা বলেছেন এবং ভবিষ্যতে পরামর্শ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আধঘণ্টা ধরে মাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এটাই ছিল বাইডেনের কৌশল। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি অটুট থাকছে।
অক্টোবরে বৈঠক
অক্টোবরে বাইডেন ও মাক্রোঁ বৈঠক করবেন। ইউরোপে এই বৈঠক হবে। সেখানে সাবমেরিন-বিতর্কের পর দুই দেশের সম্পর্ককে আরো জোরদার করার চেষ্টা করা হবে। দুই দেশই জানিয়েছে, মুখোমুখি ও খোলাখুলি আলোচনা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
মাক্রোঁর জন্য
আগামী বছর মাক্রোঁকে নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে। তাই তিনি তার কড়া মনোভাব নিয়েই চলবেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সেই সঙ্গে তিনি এই বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবেন।