1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাইডেন জয়ী: ইলেকটোরাল কলেজ

১৫ ডিসেম্বর ২০২০

এ বার মার্কিন ইলেকটোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিক ভাবে জো বাইডেনকে নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করল। ট্রাম্প এখনো একই অভিযোগ করছেন।

https://p.dw.com/p/3mjEt
জো বাইডেন
ছবি: Susan Walsh/AP Photo/picture alliance

জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রশাসনও সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন জো বাইডেন। সোমবার মার্কিন ইলেকটোরাল কলেজ বাইডেনের জয়ে শিলমোহর দিল। আনুষ্ঠানিক ভাবে বাইডেনের জয় ঘোষণা করা হলো। যদিও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ডনাল্ড ট্রাম্প এখনো একই কথা বলে চলেছেন। সোমবারেও তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের কারচুপি হয়েছে। তাঁর কাছে সে প্রমাণ আছে। যদিও এখনো পর্যন্ত তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে একটিও প্রমাণ দেখাতে পারেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।

মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট লাগে। টান টান নির্বাচনে বাইডেন ২৭০টির অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন। সর্বশেষ ফলাফলে দেখা গিয়েছিল বাইডেনের ঝুলিতে ৩০৬টি ভোট, ট্রাম্পের ২৩২। কিন্তু তখনো ট্রাম্প বাইডেনের জয় স্বীকার করেননি। ফলে সকলেই অপেক্ষা করে ছিলেন ইলেকটোরাল কলেজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য। সোমবার মার্কিন ইলেকটোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেয়, বাইডেনই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন।

ইলেকটোরাল কলেজ জানালেও ডনাল্ড ট্রাম্প সোমবারেও কারচুপির অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মিশিগানে যে কারচুপি হয়েছে তার অপ্রকাশিত রিপোর্ট তাঁর কাছে আছে। যদিও সেই রিপোর্ট তিনি প্রকাশ করেননি। ট্রাম্পের টুইটের সত্যতা পরীক্ষা করা যায়নি বলে জানিয়ে দিয়েছে টুইটার।

এ দিকে জয় ঘোষণার পর মার্কিনবাসীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন। বলেছেন, এই জয় প্রত্যেক ভোটদাতার জয়। শুধু তাই নয়, মার্কিন গণতান্ত্রিক ভোট ব্যবস্থার জয় বলেও এ দিন জানিয়েছেন বাইডেন। পাশাপাশি ট্রাম্পকেও এক হাত নিয়েছেন বাইডেন। বলেছেন, একজন প্রেসিডেন্ট হয়েও ট্রাম্প যে ভাবে মানুষের মতামতকে অস্বীকার করছেন, ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলছেন, তা অ্যামেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম।

আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার কথা বাইডেনের। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ট্রাম্প সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন না। ওই দিনই ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)