বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের কিছু মুহূর্ত
ভারতের বিপক্ষে আটটি টি-টোয়েন্টি হারার পর নবম ম্যাচে এলো বহু প্রতিক্ষীত জয়৷ দেখে নিন সাকিব-তামিমবিহীন ম্যাচে টাইগারদের জয়ের কিছু ছবি৷
দ্রুত উইকেট পতন
ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে রোহিত শর্মাকে ফেরায় বাংলাদেশ৷ শফিউল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে ৯ রান করেন রোহিত৷ এরপর সপ্তম ওভারে কান্নুর লোকেশ রাহুলকে ফেরান আমিনুল ইসলাম৷ ভারতের দলীয় রান তখন ২ উইকেটে ৩৬৷
আবার উইকেট
একাদশ ওভারে আবার আমিনুলের ধাক্কা৷ ধাওয়ানের সঙ্গে ইনিংস মেরামত করার পথে কিছুটা এগিয়েছিলেন শ্রেয়াস আয়ার৷ দুই ছক্কা এক চারে মাত্র ১৩ বলে ২২ রান করে ফেলেছিলেন শ্রেয়াস৷ তবে আমিনুলের ঘূর্ণিতে কাবু হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে৷ দলীয় স্কোর তখন তিন উইকেট হারিয়ে ১০.২ ওভারে ৭০৷
রান আউট ধাওয়ান
তিন উইকেট পরার পরও এক পর্যায়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন শিখর ধাওয়ান৷ ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া ধাওয়ান এক ছক্কা আর তিন চারে করে ফেলেছেন ৪২ বলে ৪১ রান৷ ধীরে ধীরে হাত খুলে মারতেও শুরু করেছেন কিন্তু মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকের দারুণ বোঝাপড়ায় সে ইনিংস আর বড় হয়নি৷ ১৪.৫ ওভারে রানআউট হয়ে ধাওয়ান যখন ফেরেন, রান তখন ৯৫৷
শুরুতেই নেই লিটন
শুরুতে বোলাররা বেঁধে রাখলেও শেষ দুই ওভারে রানের গতি বেশ বাড়িয়ে নেন পান্ডিয়া আর ওয়াশিংটন সুন্দর৷ বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৯৷ ওপেনারদের কাছে বড় স্কোরের প্রত্যাশা থাকলেও প্রথম ওভারেই দীপক চাহারের বলে রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ রান করা লিটন দাস৷
ধাক্কা সামলে সামনে টাইগাররা
টিটোয়েন্টি অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ নাইম অবশ্য লিটনের পতন বেশ সামলেই নিয়েছিলেন৷ অষ্টম ওভারে ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের বলে কট আউট হওয়ার আগে এক ছক্কা দুই চারে ২৮ বলে ২৬ রান করেন নাইম৷ বাংলাদেশের স্কোর ততক্ষণে ৫৪৷
জয়ের পথে জুটি
ভারতীয় বোলারদের ভালোই সামলেছেন সৌম্য আর মুশফিক৷ একদিকে দ্রুত গতির সিঙ্গেলস আর ডাবলসে যেভাবে রানের গতি চালু রেখেছেন দুই ব্যাটসম্যান, মাঝেমধ্যে বাজে বলে চার-ছয় মেরে কমিয়েছেন বল আর রানের পার্থক্যও৷ ১৭তম ওভারের শেষ বলে খলীল আহমেদ বোল্ড করার আগেই ৩৯ রান করেছেন সৌম্য৷
এবার আর ভুল নয়
সৌম্য আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ৷ তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮ বলে ৩৫ রান৷ অসম্ভব না হলেও একেবারেই সহজ নয় এ টার্গেট৷ কিন্তু সে কাজটিই শেষ পর্যন্ত সহজে করে দেখালেন মুশফিক৷ ১৯তম ওভারে খলিলের শেষ চার বলে চারটি চার মেরে ম্যাচ পুরোপুরি বাংলাদেশের কব্জায় নিয়ে আসেন মুশফিক৷ শেষ ওভারে দরকার ছিল কেবল চার রান৷ ফলে এবার আর ছক্কা মেরে জয় এনে দিতে বেগ পেতে হয়নি মাহমুদুল্লাহকে৷