1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোবট বাজারজাতকরণের সমস্যা

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

উন্নত বিশ্বে রোবটকে অনেক কাজে লাগানো হচ্ছে৷ বাংলাদেশের তরুণরাও রোবটের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ তবে রোবটকে দিয়ে সত্যিকার অর্থে কাজ করাতে উৎসাহী হচ্ছে না সরকার বা অন্য কেউ৷

https://p.dw.com/p/1DLQp
ছবি: Rini Eshan Khushboo

মন্তব্যটা রিনি ঈশান খুশবু-র৷ তিনি ‘প্ল্যানেটার বাংলাদেশ' এর প্রধান নির্বাহী৷ বিভিন্ন কাজে রোবটের ব্যবহার নিয়ে সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি৷ কিন্তু বাংলাদেশে এখনও রোবট ব্যবহারের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তাঁরা, ডয়চে ভেলেকে এমনটাই জানান খুশবু৷ তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা মনে করেন, কোনো কাজে রোবট ব্যবহার মানে সে কাজের জন্য যে জনবল প্রয়োজন ছিল সেটা আর না লাগা৷ এতে করে বেকার সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ এছাড়া রোবট ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন – যার অভাব রয়েছে বাংলাদেশে৷''

রোবট

তবে এই যুক্তিগুলোর সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন খুশবু৷ কারণ ‘‘রোবট তৈরি ও বাজারজাত করতেওতো জনবল প্রয়োজন৷ সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে৷ তাছাড়া বিভিন্ন বিপজ্জনক কাজে মানুষের পরিবর্তে রোবট পাঠানোটা বুদ্ধিমানের কাজ,'' বলে মনে করেন চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক ছাত্রী খুশবু৷ ২০১৩ সালে তিনি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা-র রোবট তৈরি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন৷

খুশবু জানান, তাঁদের কোম্পানির কাছে ওয়েল্ডিং করতে পারে এমন রোবট রয়েছে৷ এছাড়া বড় বড় ভবনের বাইরের দিকে রং করতে পারবে এমন রোবট তৈরির কাজও করছে প্ল্যানেটার বাংলাদেশ৷ ‘‘আমাদের দেশে উঁচু ভবন পেইন্ট করতে গিয়ে নীচে পড়ে মারা যাচ্ছে অনেক শ্রমিক৷ এছাড়া ওয়েল্ডিং করতে গিয়ে শ্রমিকদের চোখেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে৷ এসব কাজে রোবটকে কাজে লাগানো যেতে পারে,'' মনে করেন তিনি৷

নিজের সাম্প্রতিক এক অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে খুশবু বলেন, আর ক'দিন পরই কোরবানির ঈদ৷ সেসময় ঢাকা শহরের অলিগলিতে অনেক ময়লা জমবে৷ রোবট দিয়ে সেই ময়লা পরিষ্কারের একটা প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে৷ ‘‘অনেকদিন ধরে সিটি কর্পোরেশনকে ব্যাপারটা বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম৷ কেউ কেউ বিষয়টা বোঝে৷ কিন্তু এরপর আবার আরেকজনের কথা শুনে মত পরিবর্তন করে বলে, রোবট দিয়ে কাজ করালে যারা ময়লা পরিষ্কারের কাজ করে তাদের কী হবে৷''

এ সব কারণে বাংলাদেশে এখনও রোবটের ততটা প্রায়োগিক ব্যবহার দেখা যাচ্ছে না৷ এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ড্রোনের ব্যাপারেই সরকারকে একটু আগ্রহী বলে মনে হয়েছে খুশবুর কাছে৷ এছাড়া এক-দুটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল দৃশ্য ধারণের ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করছে৷

রোবট ব্যবহারের এমন হতাশাজনক পরিস্থিতির কারণে রোবটের মান উন্নয়নসহ সেগুলো যেন বাহ্যিকভাবে আরও সুন্দর করা যায় সেজন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগকারীও পাওয়া যাচ্ছে না, বলে জানান খুশবু৷

তবে পিছিয়ে যাওয়ার মানুষ নন তিনি৷ তাঁর স্বপ্ন, বাংলাদেশে এখন যেমন কম্পিউটার আর মোবাইল ফোন বিক্রি ও মেরামতির দোকান গড়ে উঠেছে, রোবটের ক্ষেত্রেও একদিন সেটা সত্যি হবে৷ এ লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রকাশ করলেন খুশবু৷

সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য