বাংলাদেশে নারীদের ‘প্রথম’

খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী৷ ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার দল ক্ষমতায় আসে৷

ওয়ান ডে সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন ফারজানা হক পিঙ্কি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডেতে ১৫৬ বলে শতরান করলেন তিনি। ৫০ ওভারের ম্যাচে ওপেন করতে নেমে পুরো ইনিংসে একাই ব্যাট হাতে গোটা দলকে টেনে নিয়ে যান ফারজানা। ম্যাচের একেবারে শেষ বলে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১০৭ রানে আউট হন তিনি।

২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল প্রথম নারী স্পিকার হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী৷

বিচার বিভাগের ইতিহাসে হাইকোর্টের প্রথম নারী বিচারক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা৷ ১৯৭৫ সালের ২০ ডিসেম্বর তিনি মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন৷ প্রথম নারী জেলা জজ তিনি, হাইকোর্টেও প্রথম নারী বিচারপতি৷ ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন৷ ২০২১ সাল থেকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে আছেন৷ এই পদে নিয়োগ পাওয়া প্রথম নারীও তিনি৷

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন কবিতা খানম৷

১৯ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শিরোপা জেতেন বাংলাদেশের মেয়েরা৷

২০১৮ সালে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল৷

২০১৪ সালের ২ মার্চ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ফারজানা ইসলাম৷ তিনিই কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হওয়া প্রথম নারী৷

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ-র প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি হয়েছিলেন রুবানা হক৷ ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি৷

১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে বিমান চালানোর অনুমতি পেয়েছিলেন সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা৷ ১৯৮৪ সালে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরে একটি ফকার বিমান অবতরণ করাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান পাইলট কানিজসহ বিমানের ৪৫ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু৷

২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর বিমানবাহিনীর পাইলট অফিসার তামান্না-ই-লূৎফী দেশের প্রথম সামরিক নারী বৈমানিক হিসেবে সফলভাবে একটি হেলিকপ্টার ওড়ান৷

২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম নারী বৈমানিক হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন বিমানবাহিনীর দুই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফী (বামে) ও নাইমা হক৷

২০১৩ সালে সিলেট সেনানিবাস সংলগ্ন পানিছড়া ড্রপ জোনে এক হাজার মিটার উচ্চতা থেকে প্যারাস্যুট নিয়ে নিরাপদে মাটিতে নেমে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্যারাট্রুপারের গৌরব অর্জন করেছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস৷ (ছবিটি প্রতীকী)

প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে ২০১২ সালের ১৯ মে এভারেস্ট জয় করেন নিশাত মজুমদার৷

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছেন ওয়াসফিয়া নাজরীন৷ ২০১১ সালে আফ্রিকার কিলিমানজারো দিয়ে শুরু করে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর ওশেনিয়ার কার্সটেসনস পিরামিড দিয়ে শেষ করেছিলেন ওয়াসফিয়া৷

২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ১৩ জন নারী নাবিক কাজ শুরু করেন৷ তারা সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে সমুদ্রগামী জাহাজে চাকরি পান৷ এই নারী মেরিন ক্যাডেটরা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজে যোগ দিয়েছিলেন৷

২০০৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে সহকারী চালক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে দেশের প্রথম নারী ট্রেন চালক হয়েছিলেন সালমা খাতুন৷

১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০০২ সালে জোবেরা রহমান লিনুর নাম গিনেস বুকে ওঠে৷

দক্ষিণ এশিয়ান গেমস এসএ গেমসে বাংলাদেশের সোনাজয়ী প্রথম নারী অ্যাথলেট কাজী শাহানা পারভীন৷ ১৯৯১ সালে কলম্বো গেমসে শুটিংয়ে সোনা জিতেছিলেন তিনি৷

২০১৬ সালে ভারতের গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় গেমস এসএ গেমসে ৫০ মি: ও ১০০ মি: ব্রেস্টস্ট্রোকে দুটি স্বর্ণপদক অর্জন করেন মাহফুজা খাতুন৷

২০১৬ সালে ভারতের গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় গেমস এসএ গেমসে ভারোত্তলনে বাংলাদেশের ইতিহাসে মেয়েদের মধ্যে প্রথম সোনা জেতেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত৷

বাংলাদেশের প্রথম নারী রেফারি হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন জয়া চাকমা৷ ২৩ জুন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ফিফা প্রীতি ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি৷