1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল

১০ মে ২০১১

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান সম্বলিত সংবিধান সংশোধনীকে ‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে এটি বাতিল করেছেন৷ তবে আদালত বলছেন, আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/11CnM
High Court, dhaka, bangladesh
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সভাপতিত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আপিল গ্রহণ করে কিছু পর্যবেক্ষণসহ রায়টি ঘোষণা করেন৷ এর আগে দশম দিনের মতো শুনানি গ্রহণ শেষে গত ৬ এপ্রিল বিষয়টি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত৷ গত ১ মার্চ আপিলের শুনানি শুরু হয়৷ আজ সেই আদেশ দেয়া হল৷

আদালত তাঁর রায়ে আরও বলেছেন, আগামী ১০ম ও ১১তম সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে৷ তবে তাঁরা মত দিয়ে বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের বিচারপতিকে বাদ রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে৷ আদালত বলেছে, পরবর্তীতে কিভাবে নির্বাচন হবে, এ ব্যাপারে সংসদকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷

ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়৷ সেই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন৷ এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন৷ রায়ে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধান সম্মত৷ তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেয়া হয়৷

আপিলের শুনানিতে আদালত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ড. কামাল হোসেন, টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ড. এম জহির, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসির বক্তব্য শোনেন৷ শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি প্রায় সকলেই এবং রাষ্ট্রপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে অভিমত তুলে ধরেন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ