‘বাংলাদেশে ঘুস ছাড়া পুলিশের অস্তিত্ব কল্পনা করা অসম্ভব’  | পাঠক ভাবনা | DW | 06.12.2017
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

মতামত

‘বাংলাদেশে ঘুস ছাড়া পুলিশের অস্তিত্ব কল্পনা করা অসম্ভব’ 

‘‘জনগণের সেবা তো দূরের কথা, পুলিশ মানুষকে আরো হয়রানি ও পেরেশানি করে ছাড়ে’’, ডয়চে ভেলে থেকে প্রকাশিত পুলিশ বিষয়ক লেখাগুলো পড়ার পর ফেসবুক পাতায় এ রকম মন্তব্যই করেছেন বেশিরভাগ পাঠক৷

‘‘বাংলাদেশে ঘুস ছাড়া সাধারণ ডায়েরি করাও অসম্ভব৷ আর যদি পুলিশ জানতে পারে সাহায্য প্রার্থী প্রবাসী, তাহলে ঘুস দ্বিগুণ’’,  বাংলাদেশের পুলিশ সম্পর্কে এই ধারণা দেওয়ান মোহাম্মদ সোহাগের৷

আর পাঠক সেলিম রোকন মনে করেন, পুলিশ এক ধরনের সন্ত্রাসী৷ তিনি প্রমাণ দিতেও প্রস্তুত৷ লিখেছেন, ‘‘কয়টা প্রমাণ লাগবে?’’

সালেক মোহাম্মদ পুলিশের ওপর আরো বেশি চটে আছেন৷ তাঁর ভাষায়,‘‘পুলিশ বাহিনী বা বিভাগ যে কোনও দেশ ও জাতির একটি স্থায়ী সম্পদ৷কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের পুলিশ অভদ্র৷ শতকরা দুই একজন পুলিশ হয়ত ভালো, কিন্তু বাকিরা অত্যন্ত নিম্ন মন-মানসিকতার৷ অথচ রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এটা৷ এর সিংহভাগই ঘুস ও দুর্নীতিতে লিপ্ত৷ জনগণের সেবা তো দূরে থাক, এরা মানুষকে আরো হয়রানি ও পেরেশানি করে ছাড়ে৷ এই বিভাগকে ভালো করতে পারে কেবল একজন যোগ্য  রাজনীতিবিদ৷ যা এখনও আমাদের দেশে দেখা যাচ্ছে না৷ বলা যায়, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের জন্যই পুলিশ খারাপ৷ এটাই মূল সত্য ও কারণ৷’’

আর ‘‘পুলিশ মানেই ঘুস, আর ঘুস মানেই পুলিশ, কেননা ঘুস ছাড়া পুলিশের অস্তিত্ব কল্পনা করা অসম্ভব বাংলাদেশে৷’’ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই মন্তব্য পাঠক শরিফুর রহমানের৷

অন্যদিকে সৌদি আরব প্রবাসী ময়জুর হোসেন আসাদ তাঁর নিজেরঅভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমাদের দেশের পুলিশ জনগণের টাকায় চলে, কিন্তু জনগণ যখন অপারগ হয়ে পুলিশের কাছে যায়, তখন মামলা নিতে বড় অংকের টাকা দাবি করে৷ আবার অপরাধীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চায়, যার দরুণ উভয় পক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন  হয়৷ আর এ কারণে পুলিশের উপর মানুষের কোনো আস্থা নেই৷ আমি একজন সৌদি প্রবাসী, আমার জীবনে একবার মামলা দিতে গিয়ে এসব জানতে পেরেছি৷ পরে আমাদের সমস্যা গ্রামে সালিশের মধ্য দিয়ে সমাধান করেছি৷ আমার মনে হয়, বাংলাদেশের পুলিশের মধ্যে শতকরা আশি ভাগ লোক বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত, কিন্তু পৃথিবীর অন্য দেশগুলিতে পুলিশের এরকম কিছু করার সাহস নেই৷ এখানে আমরা ভিনদেশি হলেও, যে কোনো অভিযোগ পুলিশের কাছে দেয়ার সাথে সাথে আমলে নেয়৷’’ কিন্তু নিজের দেশের অবস্হা দেখলে দুঃখ হয় বলে জানিয়েছেন ময়জুর হোসেন আসাদ৷

জয় রাজ মনে করেন, পুলিশ হচ্ছে ‘নির্দোষদের হয়রানির জন্য এক নাম্বার  সরকারি প্রতিষ্ঠান’৷

ডয়চে ভেলে থেকে প্রকাশিত একটি  ব্লগের শিরোনাম ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ আর এ সম্পর্কে  পাঠক বিশপ লিখেছেন , কিন্তু  একটু পার্থক্য আছে,  জনতা ঘুস খায় না আর পুলিশ ঘুস খায়৷ 

সায়েম খন্দকরারে মতে পুলিশের আচরণ দেখে নাকি বোঝা যায় না যে তারাও জনতা৷ 

সায়েম খন্দকরারে মতো পাঠক নাহিদ হাসানেরও বাংলাদেশের পুলিশ সম্পর্কে প্রায় একই মত৷  তাঁর ভাষায়, ‘‘জনতা পুলিশ হয়, কিন্তু পুলিশ কখনো জনতা হয় না৷’’ 

তবে মো.নুরুজ্জামান কিন্তু পুলিশ সুপারকে  ‘স্যালুট, স্যার’ বলে সম্মান জানিয়েছেন৷ 

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

 

নির্বাচিত প্রতিবেদন