1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে গরু পাচারের দুই অভিযুক্ত গুলিতে মৃত

২০ এপ্রিল ২০২২

ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের মাথা বলে পরিচিত দুই অভিযুক্ত আসামে গুলিতে নিহত। পুলিশের দাবি, তাদের মেরেছে সন্ত্রাসীরা।

https://p.dw.com/p/4A83v
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের মাথা বলে পরিচিত দুই অভিযুক্ত আসামে গুলিতে নিহত। পুলিশের দাবি, তাদের মেরেছে সন্ত্রাসীরা।
ছবি: DW/S. Konniger

গত সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মিরাটের বাসিন্দা আকবর বানজারা ও সালমান বানজারাকে ধরে। দুইজনকে তারপর আসাম পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, আসাম পুলিশের জেরার মুখে আকবর ও সালমান জানিয়েছিল, এই গরু পাচারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ আছে। এরপর দুই অভিযুক্ত পাচারকারীকে কোকরাঝাড়ের রাইমোনা ন্যাশনাল পার্কের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। জায়গাটি ভারত ও ভুটান সীমান্তের কাছে। গরু পাচার কোন রাস্তায় হয়, তা জানার জন্য তাদের ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের দাবি।

পুলিশ সুপার বিজয়কুমার বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীরা পুলিশের দলকে আক্রমণ করে। আকবর ও সালমান পুলিশের গাড়িতে ছিল। তাদের সঙ্গে আরো চারজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে সকলেরই আঘাত লাগে। আকবর ও সালমানকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

বিজয়কুমার বলেছেন, সন্ত্রাসীরা কোন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, দুইটি ম্যাগাজিন, ৩৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। চিরুনি তচল্লাশি চলছে।

আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু চুরির কাহিনি

দুই অভিযুক্ত

আসাম সরকার আকবর ও সালমান বানজারাকে ধরতে পারলে দুই লাখ টাকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মিরাট থেকে তাদের ধরে। তারপর তাদের আসাম পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে পুরস্কারের অর্থ দেয়া হয়।

আসাম পুলিশের অভিযোগ, আকবর ও সালমান আন্তর্জাতিক গরু-পাচারকারীদের সঙ্গে হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করত।  আসাম ও মেঘালয়ের সন্ত্রাসীরাও অর্থের ভাগ পেত। টাকা, সোনা ও হুন্ডির মাধ্যমে হাওয়ালায় লেনদেন হতো।

প্রশ্ন উঠছে

প্রবীণ সাংবাদিক এবং অসমীয়া প্রতিদিনের দিল্লির ব্যুরো চিফ আশিস গুপ্ত ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘‘আসামে এখন নিয়মিত পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এই ক্ষেত্রেও পুলিশ যা বলছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।’’

জিএইচ/এসজি (হিন্দুস্তান টাইমস, প্রতিদিন টাইম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান