1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ইইউ'র জনশক্তি উন্নয়ন কর্মসূচি চালু

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো, অর্থাৎ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3Cnz0
Start des EU-Bildungsprogramms in Bangladesch
ছবি: Facebook/European Union in Bangladesh

মঙ্গলবার ঢাকায় চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, ইআরডি'র সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের প্রধান রেনসিয়ে টেয়েরিংক৷ প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ২০২১ (এইচসিডিপি-২১)৷

প্রকল্পটির আওতায় আগামী চার বছরের মধ্যে শিক্ষার মাধ্যমে জনশক্তি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে মোট ২০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দেয়া হবে৷ এর মধ্যে ১৫ কোটি ইউরো প্রাথমিক শিক্ষা খাতে, কারিগরি শিক্ষা ৫ কোটি ইউরো এবং ৫০ লাখ ইউরো সংশ্লিষ্ট কারিগরি সহায়তা খাতে ব্যয় করার জন্য দেয়া হবে৷

চুক্তি অনুষ্ঠানে ইইউ ও বাংলাদেশি প্রধিনিধিরা বলেন যে, এই প্রকল্প বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখবে৷ প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষাকে এক জায়গায় এনে শিক্ষা খাতে টেকসই উন্নয়নে সাহায্য করবে৷ সার্বিকভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-র ৪ নম্বর লক্ষ্য যেখানে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান ও আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরির কথা বলা আছে, তা বাস্তবায়নেই এ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে৷

‘‘শিক্ষার মতো জরুরি খাতগুলোতে ইউরোপীয় ইউনয়নের দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতাকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ সরকার,'' বলেন ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ৷ ‘‘এই সহযোগিতার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো মজবুত করতে চাই এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে চাই৷''

রেনসিয়ে টেয়েরিংক বলেন, ‘‘আগামী দশ বছরে (বাংলাদেশে) ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ কর্মক্ষম হবেন৷ মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা ও টেকসই কারিগরি খাতে বিনিয়োগ তাঁদের কাজের সুযোগ বাড়াবে৷ তাঁরা তাঁদের কর্মদক্ষতা ব্যবহার করতে পারবেন এবং দেশের প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য নিরসনে অবদান রাখতে পারবেন৷''

এখানে ইইউ মূলত বাংলাদেশের শিক্ষানীতির উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান রেনসিয়ে৷ বলেন, এ প্রকল্পে প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষাই মনোযোগ পাচ্ছে৷ 

এ সংক্রান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত দশকগুলোতে  বাংলাদেশ মানবসম্পদ উন্নয়নে অনেকএগিয়েছে, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ তৈরিতে এবং প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে লিঙ্গ সমতা বিধানে৷ মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছাতে হলে বাংলাদেশে আরো দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ প্রয়োজন হবে৷

জেডএ/এসিবি (ইইএএস)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান