1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশকে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন বিদেশিরা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ অক্টোবর ২০১৫

দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার পর বাংলাদেশকে নিরাপত্তার দিক থেকে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ দেশ মনে করছেন বিদেশি নাগরিকরা৷ বাংলাদেশে জাপানের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত অন্তত ৫০ জন জাপানি নাগরিক নিজ দেশে ফেরত যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/1Gs3a
Bangladesh Protest gegen Kriegsverbrecher
ছবি: REUTERS

[No title]

এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের বড় একটি অংশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ ঢাকায় আসতে অসম্মতি জানিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কর্তারা৷

এই পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিক্যাটসহ বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা আবারো বিদেশিদের ওপর হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ আশঙ্কার কথা জানান তাঁরা৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বার্নিক্যাট বলেন, ‘‘আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে যে, বাংলাদেশে বিদেশিদের ওপর আরও হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে৷ এ কারণে আমাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা এখনও বহাল রাখা হয়েছে৷''

এদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প ও এলাকায় কর্মরত জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি বা জাইকা-র অন্তত ৫০ জন নাগরিককে সাময়িকভাবে নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার৷ জানা গেছে, কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা দেশে ফিরে যাচ্ছেন৷ ঢাকাসহ সারাদেশে ৭৪ জন জাপানি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেন৷

এর আগে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪১ বিদেশিকে প্রত্যাহার করা হয়৷ তাদের মধ্যে স্পেন, বুলগেরিয়া, আর্জেন্টিনাসহ আরো কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছেন৷

এছাড়া এরইমধ্যে ঢাকায় তৈরি পোশাক মালিকদের সঙ্গে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয় নিরাপত্তা প্রশ্নে৷ আর গ্যাপ এবং এইচএন্ডএম-এর মতো পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন৷

এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশিদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে৷ আর এর পিছনে আছে রাজনীতি৷ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোনো অংশেই খারাপ না৷ বিদেশিরা যাদের প্রয়োজন আছে তারা এর মধ্যেই বাংলাদেশে আসছেন, কাজ করছেন৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘দুই বিদেশিকে হত্যা যে জঙ্গিদের কাজ নয় তা এরইমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে৷ আর বড় ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও আমি দেখছিনা৷ কোনো বিদেশি বা বিদেশি রাষ্ট্র যদি নিজেদের চিন্তায় এদেশে না আসে বা নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠায় তাহলে তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার৷ তবে এটা নিয়ে তারা যদি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে তা গ্রহণযোগ্য নয়৷''

বিদেশিদের জন্য বাংলাদেশ কি এখনও ঝুঁকিপূর্ণ? মতামত জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে..

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য