1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ যুদ্ধের জ্যোতি নেভালেন মোদী

২৪ জানুয়ারি ২০২২

১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর সেনা শহিদদের স্মৃতিতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে অমর জওয়ান জ্যোতি জ্বালিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী৷ মোদী তা সরিয়ে দিলেন৷

https://p.dw.com/p/45zPX
অমর জওয়ান জ্যোতি
ছবি: picture alliance / dpa

বিরোধীরা বলছেন, শহিদ সেনা জওয়ানদের স্মৃতিতে তৈরি জ্যোতি নিভিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ বিজেপি বলছে, নেভানো হয়নি, স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ যা নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের আবহে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে৷

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিতে একটি আগুনের জ্যোতি জ্বালিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী৷ ইন্ডিয়া গেটের সামনে একটি মেমোরিয়াল তৈরি করা হয়৷ সেখানে যে জ্যোতি জ্বালানো হয়, ইন্দিরা বলেন, তা কখনো নেভানো হবে না৷

এতদিন যে কোনো অনুষ্ঠানে অমর জওয়ান জ্যোতির সামনে ফুল ছড়ানোর রেওয়াজ ছিল৷ ফুল দিতেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি৷ এবছর সেই অমর জওয়ান জ্যোতি নিভিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ অমর জওয়ান জ্যোতির আগুন নিয়ে গিয়ে মেশানো হলো, ইন্ডিয়া গেট থেকে ৪০০ মিটার দূরে তৈরি নতুন যুদ্ধ মেমোরিয়ালের আগুনে৷ এরপর থেকে সেখানেই শহিদ জওয়ানদের স্মরণ করা হবে৷

প্রধানমন্ত্রীর এই কাজে সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি বলতে শুরু করেছে, রাজনীতি করতে গিয়ে শহিদ সেনাদের অপমান করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও তার দল৷ এ নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন কোনো কোনো কংগ্রেস নেতা৷

বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, সেনা জওয়ানদের অপমান করার প্রশ্নই ওঠে না৷ সরকারের তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, অমর জওয়ান জ্যোতি নেভানো হয়নি৷ ওই আগুন নতুন মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের আগুনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সরকারের বক্তব্য, ইন্ডিয়া গেটের গায়ে যে সেনাদের নাম খোদিত আছে, তারা সকলেই বিশ্বযুদ্ধের সময় শহিদ হয়েছিলেন৷ অর্থাৎ, পরাধীন ভারতে ব্রিটিশ সেনার হয়ে তারা লড়াই করেছিলেন৷ স্বাধীন ভারতের যে সেনারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের নাম সেখানে নেই। নেই ৭১ সালে শহিদ হওয়া সেনাদের নামও৷ ২০১৯ সালে নতুন সরকার যে মেমোরিয়াল তৈরি করেছে, সেখানে স্বাধীন ভারতের বিভিন্ন যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের নাম আছে৷ সে কারণেই জ্যোতি স্থানান্তর করা হয়েছে৷ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েই এ কাজ করা হয়েছে৷

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, কংগ্রেস আমলে তৈরি বিভিন্ন মেমোরিয়ালকে আস্তে আস্তে ইতিহাস থেকে সরিয়ে ফেলতে চাইছে নতুন সরকার৷ নিজেদের তৈরি মেমোরিয়ালকে মানুষের সামনে নিয়ে আসতে চাইছে৷ সে কারণেই, অমর জওয়ান জ্যোতির জায়গায় নতুন মেমোরিয়াল তৈরি করা হয়েছে৷ এর পিছনে আসলে রাজনীতিই কাজ করছে৷

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)