কামরুজ্জামান বিপ্লবও সরাসরি সালাউদ্দিনকে দায়ী করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ ফুটবলকে কলঙ্কিত করেছে সালাউদ্দিন৷''
আরিফ আহমেদ বলছেন, ‘‘সালাউদ্দিন এত কোচ বদল করলেন কিন্তু ‘হেড' হিসেবে তিনিই আছেন৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠক সাদাতও কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘সালাউদ্দিন থাকবেই, ফুটবল থাক আর না থাক৷''
এমদাদুল হকেরও একই মত৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ফুটবলের এই অবস্থার জন্য দায়ী সালাউদ্দিন৷''
মো. শফিক, রঞ্জু হক, সুজন সাইফুজ্জামান ও অনিন্দ কুমারেরও এই একই মত৷ আর রেজা জায়িদ ফুটবলকে আবার সামনে আনতে জেলা পর্যায়ে লীগ খেলা আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছেন৷ ইকবাল খান পাঠক রেজার এই পরামর্শকে সমর্থন করেছেন৷
‘‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের মান ভালো আর ফুটবলের মান এত খারাপ কেন?'' – এই প্রশ্ন পাঠক আল-আমিনের৷
-
বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালি সেই দিনগুলি
সালাউদ্দীন ও আবাহনী
এক সময় ঢাকা লিগ ছিল দেশের ফুটবলের প্রাণ আর আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ ছিল প্রাণভ্রমরা৷ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেও এই দুটি ক্লাব ছিল সমীহ জাগানো নাম৷ ওপরে স্বর্ণ যুগের আবাহনী ক্রীড়া চক্রের একটি ছবি৷ পেছনের সারিতে (ডান থেকে দ্বিতীয়) দেখা যাচ্ছে কাজী সালাউদ্দিনকে৷ বাফুফের বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিন তখন এশিয়ার ফুটবলেরও উজ্জ্বল নাম৷ দেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে হংকংয়ের পেশাদার লিগে খেলেছেন তিনি৷
-
বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালি সেই দিনগুলি
কলকাতার মাঠ কাঁপাতেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা
এখন যা অবস্থা তাতে বাংলাদেশের কোনো ফুটবলার কলকাতায় খেলতে যাবেন এ কথা ভাবাই যায় না৷ অথচ এক সময় বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় কলকাতা লিগে দাপটের সঙ্গেই খেলেছেন৷ তাঁদের মধ্যে সবার আগে বলতে হবে প্রয়াত মোনেম মুন্নার কথা (ছবিতে যাঁর পায়ে বল)৷ বাংলাদেশ জাতীয় দল ও আবাহনী ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় তিন মৌসুম (১৯৯১, ১৯৯৩ ও ১৯৯৫) খেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে৷ ওই তিনবারই কলকাতা লিগ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল৷
-
বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালি সেই দিনগুলি
বছর জুড়ে মাঠে থাকত ফুটবল
ক্রিকেটের জোয়ার শুরুর আগ পর্যন্ত ফুটবলই ছিল বাংলাদেশের প্রধান খেলা৷ শহরে, গ্রামে-গঞ্জে মাঠে-মাঠে খেলা হতো ফুটবল৷ গ্রীষ্মের বিকেলে গরমে ঘামতে ঘামতে প্রিয় দলের সমর্থনে চেঁচিয়ে স্টেডিয়াম সরগরম রাখত দর্শক৷ বর্ষায় ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে, কাদায় মাখামাখি হয়ে আনন্দে ভাসতো সব বয়সের ফুটবলামোদী৷ ঢাকায় শীতের রাতেও ফ্লাড লাইটের আলোয় হতো ফুটবল ম্যাচ আর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট৷
-
বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালি সেই দিনগুলি
যখন পালিত হতো ‘আবাহনী-মোহামেডান দিবস’
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের দিনে গ্যালারি তো দর্শকে ভরে যেতোই, ম্যাচের দু-তিন দিন আগে থেকে সারা দেশে শুরু হতো ওই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা৷ দৈনিক আর সাপ্তাহিক সংবাদপত্রে থাকতো ওই ম্যাচ নিয়ে বিশেষ আয়োজন৷ প্রতি ঘরের সামনে উড়ত আবাহনী বা মোহামেডানের পতাকা৷ আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ নিয়ে গানের ক্যাসেটও বের হয়েছে তখন৷
-
বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালি সেই দিনগুলি
বাংলাদেশ যখন দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন
ওপরের ছবিটি আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের৷ তখনো ফুটবলের সুদিন শেষ হয়নি৷ ছবির দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে ডানেরটি জাতীয় দল ও মোহামেডানের সাবেক অধিনায়ক জুয়েল রানার৷ ১৯৯৯ সালে তাঁর অধিনায়কত্বেই সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ৷ এখন দেশের ফুটবলের এমন হাল যে সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠতেই হিমশিম খায় বাংলাদেশ৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ