1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ও্যজিল ও তাঁর অভিযোগ

এসবি/জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি)২৪ জুলাই ২০১৮

মেসুট ও্যজিল বিদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় হিসেবে জার্মানিতে বর্ণবাদ ও বৈষম্যের যে অভিযোগ তুলেছেন, তাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর বিতর্ক আরও দানা বাঁধছে৷ জার্মান ফুটবল ফেডারেশন পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে৷

https://p.dw.com/p/31yX1
২০১৪ সালে ব্রাজিলে জার্মানির জয়ের পর বিশ্বকাপ হাতে মেসুট ও্যজিল
ছবি: picture-alliance/CITYPRESS24

জার্মান জাতীয় ফুটবল দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন মেসুট ও্যজিল৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি তুলে আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রচেষ্টার কারণে বেশিরভাগ মানুষই তাঁর সমালোচনা করছেন৷ ও্যজিল তাঁর বিবৃতিতে আত্মসমালোচনার কোনো ইঙ্গিত রাখেন নি৷ তাই অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যে তাঁর পরিবারের তুর্কি সদস্যদের প্রতি সম্মান দেখাতে স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্টের প্রতি সম্মান দেখানোর বদলে তুরস্কে যাঁরা এর্দোয়ানের চরম দমন নীতির শিকার হচ্ছেন, তাঁদের প্রতি সংহতি দেখানো উচিত ছিল৷ জার্মানির জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তার পরিণতি ভালো করে ভেবে দেখা উচিত ছিল বলেও অনেকে তাঁর সমালোচনা করেছেন৷

মেসুট ও্যজিল তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও বৈষম্যের যে অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে আরও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ তুর্কি বংশোদ্ভূত ও ইসলাম ধর্মাবলম্বী হিসেবে তাঁকে বাড়তি বৈষম্যের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন ও্যজিল৷ ফলে জার্মান সমাজে বিদেশি বংশোদ্ভূত মানুষের অবস্থা নিয়ে বৃহত্তর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস অবশ্য বলেছেন, ব্রিটেনে বসবাস ও কর্মরত এক কোটিপতি ব্যক্তির বক্তব্য জার্মানিতে অভিবাসীদের অবস্থার প্রতিফলন ঘটাতে পারে না৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এক মুখপাত্রের মাধ্যমে খেলোয়াড় হিসেবে ও্যজিল-এর অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন৷

জার্মান ফুটবল ফেডারেশন ও্যজিল-এর বর্ণবাদ সংক্রান্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে৷ এক বিবৃতিতে ডিএফবি দাবি করেছে যে, সংগঠনে কোনো ধরনের বর্ণবাদ বরদাস্ত করা হয় না৷ তাছাড়া জার্মানিতে বিদেশি বা বিদেশি বংশোদ্ভূতদের সমাজের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে ডিএফবি বহু বছর ধরে কাজ করে চলেছে৷ তবে এই বিবৃতি সত্ত্বেও সংগঠনের প্রধান রাইনহার্ড গ্রিন্ডেল নানা মহলের সমালোচনার শিকার হচ্ছেন৷ তাঁর নেতৃত্বে ডিএফবি যেভাবে গোটা বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করেছে, তা বড় ভুল বলে মনে করছেন সমালোচকরা৷ তাঁর পদত্যাগের দাবিতেও অনেকে সোচ্চার হচ্ছেন৷ জানা গেছে, জার্মান জাতীয় দলের কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ ও্যজিল-এর পদত্যাগের খবর ইন্টারনেটের মাধ্যমেই জানতে পারেন৷

জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূত মানুষের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এই বিতর্কে ও্যজিল-এর পাশেই দাঁড়িয়েছেন৷ বর্ণবাদ ও বৈষম্যের প্রতিবাদে জাতীয় দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে অনেকে সাহসি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন৷ অনেকে অবশ্য মনে করেন, ও্যজিল কিছুটা বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন৷ এর্দোয়ান-এর সঙ্গে ছবি তুলে তিনি ‘অমার্জনীয় ভুল' করেছেন বলে তাঁরা মনে করছেন৷ এর্দোয়ান-এর প্রচারণার হাতিয়ার হয়ে ও্যজিল নিজেকে ছোট করেছেন৷