বরাকের জল বাড়ছে, আসামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
আসামের বন্যা পরিস্থিতি আবার সংকটজনক। কয়েকদিন নদীর জল কমার পর আবার তা বাড়ছে। বরাক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
আকাশ থেকে
আসামের কাছার জেলায় বন্যার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা এই ছবিই বুঝিয়ে দিচ্ছে। শিলচর ও তার আশপাশের বিশাল এলাকা জুড়ে শুধু বন্যার ঘোলা জল। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, মন্দির-মসজিদ সব জলের তলায়। স্কুল, হাসপাতালেও উঠে এসেছে জল। নিরাশ্রয় লাখ লাখ মানুষ।
জল নামেনি
এই বিশাল এলাকা থেকে জল নামেনি। দিন কয়েক পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছিল। নদীর জল কমে আসছিল। কিন্তু পাহাড়ের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় আবার নদীতে জল ভয়ংকরভাবে বেড়ে গেছে। ফলে মাঠঘাট সব বন্যার জলের তলায় ঢাকা পড়ে গেছে।
বরাক নদীর জল
বরাক নদীর জল আবার বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। আর একটু বাড়লেই তা কিছুদিন আগের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করবে।
ব্রিজের অবস্থা
এই ব্রিজের উপর যে কোনো সময় বন্যার জল উঠে আসবে। এখনই বন্যার জল ব্রিজ ছুঁইছুঁই করছে। এই সেতু ভেসে গেলে প্রচুর মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।
যাতায়াতের উপায়
বন্যায় ভেসেছে চারপাশ। এই সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় জরুরি প্রয়োজনে কেমনভাবে যাবে মানুষ? তখন কাজে আসছে এই দেশীয় পদ্ধতি। ফোলানো টিউবের উপর কাঠের তক্তা পেতে লগি ঠেলে চলছে যাতায়াত।
চেনা দায়
একসময় রাস্তা ছিল। পাশে মাঠ। এখন তা বন্যার জলের তলায়। দেখে মনে হবে বিশাল জলাশয়। শিলচর ও তার আশপাশের এলাকার মানুষের জীবন বেহাল করে দিয়েছে এই বন্যা।
ট্রাকেই সংসার
বাড়িতে ঢুকে গেছে বন্যার জল। এই দুর্গত মানুষদের এখন ট্রাকেই সংসার।
স্কুল-কলেজের বাড়িতে
স্কুল-কলেজের উঁচু পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রচুর মানুষ। অপেক্ষা করছেন, কবে জল নামবে, তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন।
বাড়ির অবস্থা
বহু গ্রামে বাড়িতে বন্যার জল ঢুকে গেছে। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে হয়েছে। বাড়ির অবস্থাও খারাপ হচ্ছে।
সরকারি সাহায্য
এই ট্রাকে করে আসছে সরকারি সাহায্য। কিন্তু স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সরকারের যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহায্য করা উচিত ছিল, তা দেখা যাচ্ছে না। ত্রাণ নিয়ে মানুষের অভিযোগ আছে।
জলের জন্য
ট্যাঙ্কারে করে জল আসছে। হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে তা সংগ্রহ করছেন মানুষ। বাঁশের ভেলার উপর রাখা হয়েছে জলের হাঁড়ি। এই জলটুকু সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে মানুষকে।